প্রতিবেদন

স্কাইল্যান্সার এর লেজ গুটানোর পরের পর্বঃ দুটি বাস্তব গল্প, লাখ মানুষের বোবা কান্না

 

স্কাইল্যান্সার এর লেজ গুটানোর পরের পর্বঃ দুটি বাস্তব গল্প, লাখ মানুষের বোবা কান্না 2

প্রথমে কিছুক্ষন ভাবলাম কোথা থেকে শুরু করব। ভেবে কিছুই পেলাম না। শুক্রবার বাসে করে আইডিবি যাচ্ছিলাম এক বন্ধুর পিসি কিনতে ।

যে বন্ধুর পিসি কিনতে যাচ্ছিলাম সেই আমাকে কল দিল যে, আইডিবিতে তাড়াতাড়ি আস, আমার তো অবস্থা খারাপ। বন্ধুটির মুখের কথা শুনে মনে হয় অনেক ঘাবড়ে আছে।

জানতে চাইলাম কি হল??

বলল আগে আস, তারপর বলছি।

বাস করে আইডিবিতে গেলাম। আইডিবির সামনেই বন্ধুটি দাড়িয়ে ছিলো। ওর চোখ দুটো লাল হয়ে আছে।

বললাম কি হয়েছে??

বন্ধুটি(নামটি অপ্রকাশিত রইলো)বলল, ” আমার সব শেষ!!

বললাম , “কি হয়েছে”

বন্ধুটি, “আমার ১৮ হাজার টাকা জলে গেল”

আমি, “কি হয়েছে বলবি তো”??

বন্ধুটি “স্কাইল্যান্সার ভেগে গেছে” বন্ধুটির দুচোখ দিয়ে যেন অশ্রু পড়তে শুরু করে।

লোক লজ্জার ভয়ে অশ্রু যেন আর আসল না। তবে আমি বুঝতে পারছি ওর ভিতরে কি পরিমান কষ্ট হচ্ছে।

মূলত একজন স্টুডেন্ট এর কাছে ১০০ টাকা মানে অনেক টাকা। ১০0 টাকা হারালে যেন বুকটা ফেটে যায়। আর ওরতো ১৮ হাজার টাকা। যদি ছেলেটা বড়লোকের ছেলে হত তাহলে সমস্যা ছিল না। মধ্যবিও পারিবারের ছেলে ছিলো ও, যে কিনা মেসে থেকে পড়াশুনা করত। কিছুদিন আগে এখন বোনের বাসায় উঠৈ। টাকাটা বোনের কাছ থেকে নিয়েছিল, আর বোন নিয়েছিল দুলাভাইয়ের কাছ থেকে। এই টাকাটা ওর বোনের একমাসের বাজারের টাকা। ও ওর বোনকে বলেছে যে তিন তারিখে টাকাটা ফিরত দিবে। বোনও ভাইয়ের কথা বিশ্বাস করে টাকাটা দিল।

কিন্তু এখন??

ও কি জবাব দিবে ওর বোনের কাছে??

ওর বোন ওর দুলাভাইয়ের কি বলবে??

সংসারে অশান্তি শুরু…………. জানি না এটা কতদিনে ঠিক হবে। বন্ধুটি এখন অসহায় হয়ে গেছে। এটা গেল একজনের কথা। এমন আরো অনেক আছে। সংবাদপত্রের হিসাবে ৯০ হাজারের মত। তাহলে এমন ৯০ হাজার মানুষের গল্প আছে।

আচ্ছা সেই হিসাব বাদ দিলাম। দেখি কোন কত টাকা হল ৯০০০০*৭৫০=৬৭৫০০০০০ আমি অংকে একটু কাঁচা দেখুন তো গুনটা ঠিক আছে কি না 🙂

টিভির হিসেবে কিন্তু এটা আরো বেশি যা কিনা গোটা দুই লাখের সমান

এক তারিখে স্কাইল্যান্সার এর টাকা দেওয়ার কথা ছিল । কিন্তু সেই টাকা না দিয়ে এরা পালিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করে। অলরেডী অনেকে পালিয়ে গেছে একজন ছাড়া। কত রঙ্গীন স্বপ্ন না দেখত এরা । দিনে দিনে কোটিপতি হয়ে যাবে।

নেট ইউজার বৃদ্ধি যাদের অনেকেই ক্লিকলেন্সারঃ

কিছুদিন আগে ইন্টারনেটের লোক আমার বাসায় আসল নেটের মাসিক বিল এর জন্য। আমি বিল দিলাম এবং কিছু সময় লোকটার সাথে গল্প করি।

নেটে স্পীড কম কেন?? বর্তমান ব্যবহারকারি কত? কি করছে ?? ইত্যাদি হাবিজাবি। তো ওদিন জানতে চাইলাম আপনাদের বর্তমান ইউজার কত জন জন??

রুহুল আমিন ভাই,”এখন তো আমাদের ব্যাবহারকরী আগের ডাবল হয়ে গেছে”

আমি অবাক হয়ে বলি,”এত কারন কি??”

রুহুল আমিন ভাই,” এখন ডুল্যান্সার , স্কাইল্যান্সার আর কি কি ক্লিকের কাজ নাকি আছে । যে পোলাডা ইন্টারনেটের ব্রাউজার ও ওপের করতে পারে না সে ও ক্লিকের কাজ করে নেটৈ। এই কাজের জন্য আমাদের ইন্টারনেট ব্যাবসার এখন রমারম ”

আমি বলাল,” ওহ ব্যাপার তাহলে এটা!! 🙂

একটু ভাবলাম আসলে টাকা টাকা এত সহজে আয় করা যায়। যদি তাই হত তাহলে মানুষের আর চাকুরী আর লেখাপড়া এবং এত কষ্ট করে কাজ শিখতে হত না ঘরে বসে ক্লিক করতে আর সারাজীবন বসে বসে আয় করত। স্কাইল্যান্সার এর প্রতারনার খবর নিয়ে এতক্ষনে বাংলা কমিউনিটি ব্লগগুলোতে অনেক লিখা লিখি হয়েছে। সবার তথ্য গুলো জানা। তবুও আমার লেখার শেষে তথ্য এবং এই সম্পকে জানান ভিডিওগুলো শেয়ার দিব।

আসুন আর একটা গল্পশুনি(গল্পটা সত্যি নামটি প্রকাশ করলাম না গোপনীয়াতার জন্য)স্কাইল্যান্সার এর লেজ গুটানোর পরের পর্বঃ দুটি বাস্তব গল্প, লাখ মানুষের বোবা কান্না 3

স্কাইল্যান্সার এর লেজ গুটানোর পরের পর্বঃ দুটি বাস্তব গল্প, লাখ মানুষের বোবা কান্না 4

“যার গল্পটি বলব সে কিন্তু এই ছবিটির মধ্যে আছে । “(ছবিটি নেওয়া) ব্যাক্তিটির নিজের ভাষাটি আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। ব্যাক্তিটি হল আমাদের এলাকায় থাকা একটি বড় ভাই। গ্রামে থেকে শহরে এসেছে নতুন পড়াশুনার জন্য ওনার অবস্থা দেখুন। নামটি প্রচার করছি না।

“চার মাস আগে ঢাকা আসলাম। চোখে কত স্বাপ্ন এই ঢাকা শহর নাকি কত সুন্দর। খুব ছোটবেলা একবার ঢাকা এসেছিলাম । এরপর আর আসিনি। আমার কাছে স্বপ্নের শহর হল এই ঢাকা শহর। বন্ধুদের সাথে মেসে থাকি। বাবা মাসে মাসে টাকা পাঠায়। দেখি আমার বন্ধুরা ইন্টারনেট ব্যাবহার করে। মেসে হাবীবের কম্পিউটার আছে সাথে নেট।আবার দেখে মেসের অন্য মেম্বারদের সাথে ওরা কি নিয়ে যেন আলোচনা করে। একদিন আমাকে ডেকে বুঝাল যে ক্লিক করে কেমন করে আয় করা যায়। আমি তো শুনে অবাক টাকা আয় করা এত সহজ। আমি আমি ও কাজ করব। হাবীব বলল, “এর জন্য নাকি ৭০০০ টাকা লাগবে??” কই পাব আমি এই সাত হাজার টাকা অনেকক্ষন ভাবলাম। আমার বাবা আমার পড়াশুনার টাকা পাঠাতেই হিমশিম খাচ্ছে। এর কয়েকদিন পর আমার পরীক্ষার ফ্রী এর টাকা পাঠানো হয়েছে। ফ্রী জমা দেওয়ার আরও পনের দিন সময় আছে। এই পনের দিনে আমি টাকা আয় করে নিজেই পরীক্ষার ফ্রী দিতে পারব। তো হাবীবের সাহায্যে আমি ৭০০০ টাকা দিয়ে একটা একাউন্ট খুলাম।শুরা হল আমার ক্লিক জীবন। বিশ্বাস করবা না তুসিন ১০০ টা ক্লিক করতে জান বের হয়ে যেত। কিছুদিন বন্ধুর পিসিতে করতাম। কিন্তু আর তো বন্ধু দিচ্ছে না। এখন নিজের একটি পিসি কিনা দরকার সাথে একটা ইন্টারনেট লাইন। কি করি??? রামপুরা এক খালা থাকে। খালাকে কাছ থেকে কিছু টাকা ,বন্ধুদের কাজ থেকে ধার করে একটা পিসি এবং মাসে ৫০০ টাকা দিয়ে একটা ইন্টারনেট এর লাইন নিলাম। এর মাঝে আমার পরীক্ষার ফ্রী এর সময় হয়ে গেল। আমি হাবীবকে বললাম টাকা লাগবে আমার আমার ক্লিকে ১৫০$ আছে । এই টাকা তুলব। হাবীব বলে অনলাইন তো তাই কিছুদিন সময় লাগে। কিন্তু সেমিষ্টারে ফ্রী এর সময় আছে দুইদিন মাএ। ক্লিক করি আর ফেইসবুকে রেফালের জন্য ফেইসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে এডড দিতে থাকি। ফেইসবুকে এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয় আমার। কি ভাল মেয়েটি । সারাদিন ক্লিক করে আর মেয়েটির সাতে চ্যাট করে। বন্ধুদের ৫ টা আইডিতে আমি প্রতিদন ক্লিক করতে থাকি ওরা বলে এর জন্য নাকি আমাকে কমিশন দিবে। এভাবে চলত আমার দিন। একদিন মেয়েটি আমার নম্বর চাইল আমি নম্বার দিলাম । শুরু হল ফোন আলাপ। মোবাইলে টাকা পুরানোর জন্য আমি অনেক দুপুর না খেয়ে ছিলাম। মনে মনে আশা আর কিছুদিন পর ক্লিক এর টাকা পাব। আর কষ্ট থাকবে না। প্রিয়তমাকে বুঝালাম কিছুদিন পর আর আমার কষ্ট থাকবে না।তখন আমিই তোমাকে বেশি ফোন দিব এখন তুমি দাও ।প্রিয়তমার কথা মত প্রিয়তমার একটা ক্লিকের আইডিতে আমি প্রতিদিন ক্লিক করতাম। মোট ৮টা মানে ৮০০ টাকার মত ক্লিক করতে হত। স্বপ্নের দিনগুলো পার হতে থাকল। পরীক্ষার ফ্রী দেওয়া দিন হল টাকা যোগার করতে পারলাম না:(:(:( এবারের মত পরীক্ষার দিতে পারব না।তবে মনে দু:খ হল না। আমার তো টাকা আছে পরের বার দিন। এর একদিন পরই দেখি এ

৯০ হাজার গ্রাহক স্কাইল্যান্সারের প্রতারণার ফাঁদে-ভাঙচুর, চেয়ারম্যান আটক

স্কাইল্যান্সার এর লেজ গুটানোর পরের পর্বঃ দুটি বাস্তব গল্প, লাখ মানুষের বোবা কান্না 5

ভিডিওটি দেখুন

[youtube=http://www.youtube.com/watch?v=6Pg9MZ_BrT4&feature=player_embedded]

তুসিন এখণ কি করব আমি।:'( বলে ভাইটি ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে থাকে।

সবচেয়ে চমক তথ্য হচ্ছে যে মেয়েটিকে ভাইটি এত প্রছন্দ করত এবং মেয়েটির আইডিতে ক্লিক করত সেই মেয়েটির আইডিও নাই এখন ফেইসবুকে এবং ফোন বন্ধ। বুঝার বাকি নাই যে মেয়েটি তার ক্লিকের জন্য ভাইটির সাথে মিথ্যা প্রেমের অভিনয় করে। ওনার দুচোখে এখন অন্ধকার । না আছে পড়াশুনা, বন্ধুর টাকা ফিরত দিতে হবে, সাথে আছে খালার টাকা ফিরত, নিজের কাছে নিজেকে অপরাধী মনে হওয়া, বাবার এত কষ্ট করে পাঠানো টাকা নষ্ট করা। সব কিছু মিলিয়ে আজ ওনার অবস্থা খুব শোচনীয়। ব্যাপারটা হয়ত ভাবতে হাসি পাচ্ছে বলদ পোলাপান এগুলো করতে গেছিলা কেন?? কিন্ত তারা তখনো বুঝতে পারত না। তাদেরকে ভুল বুঝানো হয়েছে। মাথাটাকে ওয়াশ করা হয়েছে। কিছু শিক্ষিত যুবকই এই কাজটি করছে নিজের স্বাথের জন্য।তাদেরকে ইচ্ছা করেছে ফায়ার করে মারি। কেন যেন মানুষের আহাজারি দেখলে আমার খুব খারাপ লাগে। মনে হয় মানুষটার ভিরতে না জানি কেমন কষ্ট হচ্ছে। টিভির খবরে যখন দেখে ছেলেহারা মায়ের কান্না, বাবার কান্না। কাদতে কাঁদতে যখন বরে আমার বাবাকে কি পাব না?? আমার ছেলেটির লাশটাও দেখতে পারলাম না?? কি করেছিল আমার ছোট ভাইটি?? এর উওর আনমনে খুঁজে বেড়াই। কিন্তু কোন উওর নেই। তখন শুধু একটা কথা মাথায় আসে কোন দেশে বাস করছি আমার ??? দেখুন স্কাইল্যান্সার এর কিছু আপডেট খবর স্কাইল্যান্সার এর লেজ গুটানোর পরের পর্বঃ দুটি বাস্তব গল্প, লাখ মানুষের বোবা কান্না 6

Skylancers ar M.D. Saiful islam aj RAB-3 er hata dhora porasa. Ar chairman Neil K Rahman kolabagan thanai asa….. Amra sobai cai jeno Neil K Rahman and Saiful islam k ak gaijai kora hoi and somjothar madomma grahok der pament dea hoi>>>(গ্রুপ থেকে প্রাপ্ত)

কি ভদ্রলোক মনে হচ্ছে তাই না। আসলে দেখতে মনে হচ্ছে ডেসটিনির টাই পড়া লোক আসলেই তাই কিন্তু ইনি হল স্কাইল্যান্সার এর MD ??

স্কাইল্যান্সার এর লেজ গুটানোর পরের পর্বঃ দুটি বাস্তব গল্প, লাখ মানুষের বোবা কান্না 7

ইনি হলেন চেহারম্যান…. :P:P এনার ফেইবুক আইডি নীল কে রহমান দেখুন কি হিরো মার্কা চেহার……….. 🙂

 

 

স্কাইল্যান্সার এর লেজ গুটানোর পরের পর্বঃ দুটি বাস্তব গল্প, লাখ মানুষের বোবা কান্না 8

আর একজন হল Md Ataur Rhaman Shojun (A R Shojun) (ছবিটি এখান থেকে নেওয়া) আর এটি হল সুজনের ফেইবুক আইডি ফেইসবুক সুজনকালকে বিভিন্ন গ্রুপে দেখলাম নতুন অনলাইনের আয়ের সাইটি নিয়ে পোস্ট দিয়েছে দেখুন “স্কাই লান্সারের বড় বড় লিডারা ফ্রী ডেস্ক লান্সার (freedesklancer)চালু করছে। আসুন আমরা ফ্রীডেস্কলান্সার এর লিডার দের আটক করি এবং আমাদের টাকা ফেরত নেই। ফ্রী ডেস্ক লান্সার এর যুক্ত আসে আতাউর রাহমান সুজন, আঙ্কন কুরি, রঞ্জিত তনু, পহর আরিফ। চলুন……… freedesklancer office address Faridpur Square,30 Chamelibag(3rd floor), Shantinogor, Dhaka-1217 MD Ranjit chandra Das 01676160026, 01685417732 skylancer ar BIG leader.”

প্রতারনা কাকে বলে?? কত প্রকার এদের না দেখলে মনে হয় চিনা যাইতো না। লেখাটা শেষে দিকে চলে আসল।

এই রকম অবস্থায় আমাদের কি করা উচিত??

১. যে বন্ধুটি এরকম পরিস্তির শিকার তাকে ব্যাঙ্গ না করে শান্তনা দেওয়া ।

২.বন্ধুটিকে বুঝানো যে এই ছোট ভুল থেকে শিক্ষা নে। যেন আর ভুল না হয়।

৩. মাথা ঠান্ডা রাখাত বলা। এই অবস্থায় অনেক তরুন কিন্তু নেশায় আক্রান্ত হতে পারে। তাদের দিতে নজর রাখা। যেন ভুলেও নিজের অসহায় হতাশা কাটানো জন্য নেশা না গ্রহন করে।

যারা এই অবস্থার শিকার তাদের বলছি। আপনারা অনেক হতাশ তা বুঝতে পারছি কিন্তু এই ছোট ভুল থেকে শিক্ষা নিন।

মনে ভাববেন না যে আপনার এত টাকা লস হল জীবন শেষ।

আমি কি করব??

কি জবাব দিব??

এই টাকা কেমন করে যোগার করব??

এই চিন্তা গুলো দূরে ফেলে দিন। যত চিন্তা করবেন কত বেশি অস্থীর হয়ে যাবেন। মাথায় উল্টা-পাল্টা চিন্তা আসবে। তাই মাথা ঠান্ডা রাখা শ্রেয়। মনে মনে ভাবছেন নীতি কথা বলা সহজ কিন্তু তা প্রয়োগ করা কঠিন তুসিন সাহেব । এই নীতি কথা আমরাও জানি। ভাই আপনাদের বলছি যদি জানেন তাহলে প্রয়োগ করুন। আপনাদের পরিবার কিন্তু আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। নিজের মায়ের মুখখানা একবার চিন্তা করুন । তারপর নিজের জীবনের যদি কিছুই না থাকে তো কি হয়েছে বেঁচে আছেন এটাই বড় কথা। মনে রাখবেন জীবনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল জীবনকে যে কোন স্থান থেকে শুরু করা যায়। একধুম শূন্য থেকে জীবনকে নতুন কতে শুরু করা যায়। মানুষের হতাশা থাকবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু আমাদের এই হতাশ জয় করতে হবে। আমি নিজে যখন অনেক হতাশায় থাকি তখন বিখ্যাত বিখ্যাত মানুষের জীবনী এবং ইনাদের দেওয়া বক্তব্যগুলো পড়ি। তখন যেন জীবনের একটা ছন্দ খুঁজে পাই । তাহলে নিচের লেখাগুলো পড়তে পারেন।

১. একটি অসাধারন জীবনগাথাঁ-৩ “শিখতে হবে সবখানে”-সালমান খান
২. তাহারেই খুজে বেড়াইঃ একজন স্টিভ জবসের আদি-অন্ত

সবাইকে এই MLM এর ব্যাপারে সচেতন হওয়া আবারও দরকার। আসুন দেখে নিন এই এমএমএল এর কয়টি প্রতিষ্ঠান আছে । বর্তমানে দেশে কতগুলো এমএলএম কোম্পানী আছে এই ব্যাপারে সঠিক কোন হিসেব না থাকলেও ধারনা করা হয় প্রায় ৭০টির মত প্রতিষ্ঠান আছে যারা এমএলএম এর সাথে জড়িত। এদের বেশির ভাগেরই নেই কোন অনুমোদন, অফিস। আছে শুধু চাপাবাজী। কয়েকটি বিখ্যাত (যদিও একটু সন্দেহ আছে বিখ্যাত নাকি কুখ্যাত!) এমএলএম প্রতিষ্ঠান হল:

স্কাইল্যান্সার এর লেজ গুটানোর পরের পর্বঃ দুটি বাস্তব গল্প, লাখ মানুষের বোবা কান্না 9

১. ডেসটিনি ২০০০ লি:

২. ম্যাকনম লি:

৩. ইউনিপে টু ইউ (ইতিমধ্যে ভাগছে)

৪. স্পিকএশিয়া লি: (ইতিমধ্যে ভাগছে, আবার আসি আসি করছে)

৫. ইলিংকস লি:

৬. আইলিংকস লি:

৭. ব্রাভো আইটি লি:

৮. নিউওয়ে বিডি লি:

৯. ইজেন ইন্টারন্যাশনাল

১০. সুপার অনলাইন সার্ভিসেস

১১. রেভেন্যাক্স এলএলসি বিডি লি:

১২. এশিয়ান কিং

১৩. গ্লোবাল ইনসুরেন্স

১৪. এইমওয়ে কর্পোরেশন

১৫. এমওয়ে কর্পোরেশন

১৬. পানাছিয়া ইন্টারন্যাশনাল

১৭. ডোল্যান্সার

১৮. স্কাইল্যান্সার

১৯. দিশান বাংলাদেশ

২০. টিভিআই এক্সপ্রেস

২১. ভিসারেভ

২২. রিয়েল সার্ভে

২৩. রেম সার্ভে

২৪. বেরি সার্ভে

২৫. ডেইলি ট্রেড

২৬. গ্লোবাল গ্রীন

২৭. ইউনি গোল্ড

২৮. মাল্টিভিশন এশিয়া প্রা: লি:

এছাড়াও এরকম আরো অনেক নাম না জানা প্রতিষ্ঠান আছে যারা এমএলএম ব্যবসার নামে প্রতারনার ফাদ তৈরী করে রেখেছে। আমাদের উচিত এগুলো থেকে সচেতন থাকা। একটি সমাজের কিছু খারাপ লোক থাকবেই এটা স্বাভাবিক। তাই আমাদের এই লোকগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। মিডিয়াতে স্কাইল্যান্সের খবরের লিংক গুলো

১. স্কাইল্যান্সার ও অনন্য পিটিসি সাইট বন্ধ করুন 

২.ইন্টারনেটে প্রতারণা, স্কাইল্যান্সার হাতিয়ে নিয়েছে ২৮ কোটি টাকা

৩.৯০ হাজার গ্রাহক স্কাইল্যান্সারের প্রতারণার ফাঁদে-ভাঙচুর, চেয়ারম্যান আটক

.উত্তরাঞ্চলে আউটসোর্সিংয়ের নামে এমএলএম কোম্পানির প্রতারণা

 

দেখুন আমাদের পুলিশ বাহীনির অবদান স্কাইল্যান্সার এর লেজ গুটানোর পরের পর্বঃ দুটি বাস্তব গল্প, লাখ মানুষের বোবা কান্না 10 এই সেই পুলিশ অফিসার। যে কিনা আমাদের কাছ থেকে নিল রে থানায় নিয়ে গেছে। আমরা সারা দিন না খাইয়া ছিলাম। আর এই পুলিশ নাকি ১ কোটি টাকা ঘুষ খাইয়া নিল রে জামাই আদরে রাখছে, আমাদের সামনে দিয়া বিরানির প্যাকেট নিয়া নিল রে খাওয়াইছে, এরপর কি

আপনার বলেন যে?? দেখুন ডুল্যান্সার এর প্রতারনার খরব

‘Dolancer’ প্রতারণা ও ঠকবাজীর ডিজিটাল উপায়
রপর যদি dolancer এর দালালদের শিক্ষা না হয় । তাহলে কিছুই বলার নাই । 🙁

অনেক বড় হয়ে গেল লেখাটা। এখানে শেষ করছি। তবে সবাইকে অনুরোধ যার যার স্থান থেকে এদের প্রতিবাদ জানানো। ভাল থাকুন

পূবে প্রকাশ:”তুসিনের জল- জোছনায়”

5 thoughts on “স্কাইল্যান্সার এর লেজ গুটানোর পরের পর্বঃ দুটি বাস্তব গল্প, লাখ মানুষের বোবা কান্না

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।