ওডেস্কে ক্লায়েন্ট নির্বাচন: সেরা ৫টি উপায় যা সর্বদা অনুকরনীয়
বর্তমান সময়ের অনলাইনে কাজ-কর্ম(ফ্রীল্যান্সিং) এর সেরা প্লাটফর্ম ওডেস্কে কিভাবে ভাল কাজ লুফে নিবেন ভাল বায়ার থেকে তা জানাতে আমাদের সাথে আজকে আছেন টেকপ্রেমী মোঃ সোলায়মান, যিনি জানাবেন ওডেস্কে কিভাবে সেরা ৫ উপায়ে ক্লায়েন্ট নির্বাচন করা যায়, তাহলে এখনি যোগ দিন তার সাথে…
ওডেস্কে বিড করার আগে বায়ার সর্ম্পকে কিছু তথ্য জেনে নেয়া প্রয়োজন। বায়ার সর্ম্পকে ৫(পাঁচ)টি বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করা দরকার :
ওডেস্কের মত র্মাকটেপ্লেসে বায়ার বা ক্লায়েন্ট এবং কন্ট্রাকটর এর মধ্যে সর্ম্পকটি কেবল নিয়োগকর্তা বা র্কমচারীর মত নয়। তাই এখানে আপনি তার সাথেই কাজ করবেন যিনি আপনাকে সম্মান জানাবে, কথা দিয়ে কথা রাখবে এবং সৎ।
এটা উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমরা কন্ট্রাকটরদেরও ব্যাপারগুলো মাথায় রাখতে হয়। আমাদেরও উচিত বায়ার বা ক্লায়েন্টের সাথে পেশাগত সম্মান, নম্র, ভদ্র আচরন করা, কথা দিয়ে কথা রাখা, সৎ থাকা।
আমি যে পয়েন্টগুলো নিয়ে আলোচনা করব সেগুলো আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। এগুলো সবার বেলায় ঘটবে সে দাবি আমি করব না। তবে এ ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে কোন ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করলে একটা ভাল অভিজ্ঞতা অর্জন সম্ভব।
১। পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইডঃ
প্রথমত এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ব্যপারটি চেক করতে হবে সেটি হল ক্লায়েন্ট পেমেন্ট মেথড ভেরিফাই করেছেন কি না। পেমেন্ট মেথড ভেরিফাই করা থাকলে ঘন্টা হিসাবের কাজের (আওয়ারলি জব) বেলায় পূর্ণ নিশ্চয়তা পাওয়া যায় এবং ফিক্সড প্রাইস জবের ক্ষেত্রেও মোটামুটি নিশ্চয়তা পাওয়া যায়।
যদি ক্লায়েন্ট পেমেন্ট মেথড ভেরিফাই না করে থাকেন তবে তাঁকে ভদ্রতার সাথে জিজ্ঞেস করতে পারেন এ ব্যাপারে তাঁর চিন্তাভাবনা কি। আমি কিছু ক্লায়েন্ট পেয়েছি যাঁরা পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
তবে কেউ যদি বলেন, তিনি ওডেস্কের বাইরে পেপল ইত্যাদির মাধ্যমে পেমেন্ট দেবেন তাহলে সেটা কখনোই মানবেন না। কারণ এটা ওডেস্কের নিয়মের পরিপন্থি।
২। ক্লয়েন্ট কোন দেশের নাগরিকঃ
ক্লায়েন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে এটা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমি উন্নত অর্থনীতির দেশের ক্লায়েন্টকেই বেশি প্রাধান্য দেই। যেমনঃ যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ইত্যাদি। কারণ তাদের ক্রয় ক্ষমতা বেশি।
৩। বায়ার কেমন ফিডব্যাক পেয়েছেনঃ
যে সব ক্লায়েন্ট অন্য কন্ট্রাকটরের কাছ থেকে ভাল ফিডব্যাক পেয়েছেন (পাঁচের মধ্যে চার বা চারের উপর) তাদের সাথে কাজ করাটা আমার কাছে সহজ মনে হয়েছে।
৪। বায়ার কেমন ফিডব্যাক দিয়েছেনঃ
আমি জানি অনেকেই এ ব্যাপাটির প্রতি গুরুত্ব দেন না। কিন্তু ক্লায়েন্ট নির্বাচনের ব্যাপারে আমার কাছে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি একটু খেয়াল করলেই দেখবেন কিছু ক্লায়েন্ট তাঁদের কন্ট্রাকটরদের বাজে ফিডব্যাক/রেুটিং করেছেন। যখন আপনি ক্লায়েন্ট ও কন্ট্রাকটর উভয়ের মন্তব্য পড়বেন আপনি দেখবেন যে প্রজেক্টটি কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই সফলভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। তারপরও ক্লায়েন্ট কন্ট্রাকটরকে বাজে ফিডব্যাক/রেুটিং করেছেন কারণ হয়ত তিনি কারও প্রশংসা করতে পারেন না। আমি এ ধরনের ক্লয়েন্ট এড়িয়ে চলি, কারণ তারা মানসিক চাপের মধ্যে রেখে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন।
৫। বায়ার কত পেমেন্ট দিয়েছেনঃ
ক্লায়েন্টের পুরনো রেকর্ড দেখে আমি জানার চেষ্টা করি যে তিনি কত পেমেন্ট করেছেন। আমি যদি দেখি $১০০ এর কাজ তিনি $২০ করিয়েছেন, তবে আমি তার কাজ করব না।
ব্যতিক্রমঃ
পরিশেষে বলতে চাই সবখানেই ব্যতিক্রম আছে। কিছু ক্লায়েন্ট আপনি পাবেন যাদের বাজে অভিজ্ঞতা আছে কারণ কিছু বাজে কন্ট্রাকটরদের সাথে কাজ করেছেন। ওডেস্কে বাজে ক্লায়েন্টের পাশাপাশি বাজে কন্ট্রাকটরও আছে। যারা অহেতুক ক্লায়েন্টকে খারাপ ফিডব্যাক দেন ও ঝামেলায় ফেলেন।
প্রবাদ আছেঃ নিজে ভালো তো জগৎ ভাল। আপনি ভাল কন্ট্রাকটর হতে হলে ক্লয়েন্টের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে। ক্লায়েন্টকে কাজের মাধ্যমে খুশি করতে পারলেই আপনি সফল।