দেশে এয়ারটেল-রবি তে,পাকিস্তানে ওয়ারিদ মোবিলিঙ্ক এ একীভূতকরন
বেশ কিছুদিন ধরেই একীভূতকরনের আলোচনায় আছে বাংলাদেশের দুই টেলিযোগাযোগ অপারেটর রবি এবং এয়ারটেল। মূলত ভারতী এয়ারটেল বাংলাদেশে তাদের ব্যাবসা গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় এমনটি হতে চলেছে। ইতিমধ্যে বিটিআরসির কাছে আবেদনপত্র জমা দেয়ার কাজও সম্পন্ন হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই আলোচনার আইনি দিক গুলো খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি কবে এই প্রস্তাব অনুমদন পাচ্ছে। বিভিন্ন মাধ্যমের বরাতে জানা যাচ্ছে এক মাস থেকে এক বছর যেকোনো সময়ের মধ্যে একীভূত হবে রবি এয়ারটেল।
তবে অনুমোদনে দেরি হবার কারন হতে পারে আটকে থাকা তরঙ্গ নিলাম। এই বছর এপ্রিলে ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্টজ ( টুজি ) ও ২ হাজার ১০০ মেগাহার্টজ ( থ্রিজি ) ব্যান্ডে তরঙ্গ নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও সেটি এখন পর্যন্ত হয়নি। তরঙ্গ নিলাম নীতিমালায় ৯০০ ও ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্টজ অর্থাৎ টুজি ব্যান্ডে যে মোবাইল অপারেটরের ২০ মেগাহার্টজের বেশি তরঙ্গ আছে, তারা প্রাথমিক নিলামে অংশ নিতে পারবে না এমন শর্ত রয়েছে। রবি এয়ারটেল একীভূত হয়ে “রবি” হলে অপারেটরটির মিলিত তরঙ্গের পরিমান হবে ৩৯ দশমিক ৮ মেগাহার্টজ। ফলে তাদের কাছে তরঙ্গ বিক্রি করতে পারবেনা কর্তৃপক্ষ। এদিকে গ্রামীণফোনের কাছেও একই কারনে( গ্রামীনফোনের একক তরঙ্গ ৩২ মেগাহার্টজ) তরঙ্গ বিক্রি সম্ভব হচ্ছেনা। তাই কর্তৃপক্ষ চাইছে আগে তরঙ্গ নিলাম হোক তারপর একীভুতকরন।
দুটো অপারেটর একসাথে রবি নামে পরিচিত হবে এবং দেশের সর্বোচ্চ তরঙ্গের মালিক হবে রবি। এয়ারটেলের ‘০১৬’ গ্রাহক নম্বর তিন বছর পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে এবং এর পর এই নম্বেরের সংযোগ দেয়া হবেনা। একীভূত হবার পর আজিয়াটা লিমিটেডের কাছে থাকবে কোম্পানির ৭৫ শতাংশ শেয়ার এবং ভারতী এয়ারটেলের থাকবে ২৫ শতাংশ।
গ্রাহকদের কোনো সমস্যা হবেনা এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যাপারেও কার্যকর নীতি গ্রহন করবে বলে জানিয়েছেন উভয় কোম্পানির মুখপাত্ররা।
এখন দেখার ব্যাপার কবে ব্যাপারটি সম্পন্ন হচ্ছে এবং গ্রাহকরা এই সর্বোচ্চ তরঙ্গের কোম্পানির কাছে কতোটা সুবিধা পাবে।
এদিকে পাকিস্তানেও ওয়ারিদ-মোবিলিঙ্ক একীভূত হচ্ছে মোবিলিঙ্ক নামে। সাউথএশিয় টেলিযোগাযোগ অপারেটরদের এভাবে একীভূতকরণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কি প্রভাব ফেলবে তাই আলোচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।