হিরোজ অফ ৭১’র চমৎকার কিছু ট্রিক্স
গেলো বছরের ডিসেম্বর’এ প্লে স্টোরে আসার পর থেকেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক থার্ডপার্সন শুটিং গেইম ‘হিরোজ অফ ৭১’। বাংলাদেশী ডেভলপার “পোর্টব্লিস গেমস” নির্মিত গেইমটি অনেকেরই মন জিতে নিয়েছে, দেশী উদ্যোগ বলে অনেকের কাছে হয়েছে প্রশংশিত। গ্রাফিক্স নিয়ে সন্তুষ্টি অসন্তুষ্টি দুই’ই শোনা গেছে। এক্সিট বাটন না থাকাও ছিল গেইমটির বড় একটি অসুবিধা/সমালোচনা। এতকিছুর পরও এ পর্যন্ত গেইমটি প্লেস্টোর থেকেই ডাউনলোড করা হয়েছে ১ লক্ষেরও বেশিবার!
গল্পের কারনেও প্লেয়ারদের কছে অনেকবেশি পছন্দনীয় গেইমটি। আর গেইমপ্লে নিয়ে ভাবতে গেলে দেখা যায় শুটিং গেইম গুলো মূলত মাউস দিয়ে খেলতে সুবিধা কিন্তু যেহেতু গেইমটি এন্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে, অনেকেই খুব বেশি একটা সুবিধা করতে পারছেননা।
যাইহোক, ‘হিরোজ অফ ৭১’এর গেইমপ্লে নিয়ে চলুন দেখে নিই কিছু টিপস অ্যান্ড ট্রিক্স।
১। হাইড
ফায়ার বাটনের পাশের হাইড বাটনটি এই গেইমে আপনার সবচেয়ে বড় বন্ধু। এই অবস্থায় শত্রুকে টার্গেটে আনা যায় এবং গুলি লাগলেও ক্ষতি হয় কম। আপনি যদি লুকানো অপছন্দ করেন তবে জানুন, পিছিয়ে আসাও কিন্তু যুদ্ধের কৌশল!
২। সুইচ
শত্রু আসার আগে দু’জন মুক্তিযোদ্ধাকেই রিলোড করে রাখুন। দু’জন মুক্তিযোদ্ধাকে দুইদিকে তাক করে রাখুন। ইচ্ছামতো জায়গা আলাদা করে দিন দুজন’কে। সময় নিন, তাড়াহুড়া করলে শেষ হবে না। আহত মুক্তিযোদ্ধা দ্রুত সুইচ করুন। রেস্টে থাকা মুক্তিযোদ্ধার হেলথ রিকভার হতে থাকবে। গ্রেনেড আসতে দেখলে অবশ্যই সুইচ করুন। পারলে হানাদার এর উপর গ্রেনেড সাইন আসার একটু পর তাকে গুলি করুন। দেখবেন, গ্রেনেড’টি ওখানেই ব্লাস্ট হবে-ওই হানাদারতো মরবেই,ওর আশেপাশের গুলোও মরবে!
৩। হেডশুট
শত্রুর মাথায় নিশানা করুন,কারন হেডশুটে পয়েন্ট বেশী। আর পয়েন্ট দ্রুত বাড়লে আপনার কাছে গ্রেনেড ও জমা হবে থাকবে। শেষের দিকে অনেক বেশী পরিমাণে শত্রু আসে, তখন এই গ্রেনেড গুলোই আপনাকে জেতাবে!
৪। তাপস
তাপস পর্যন্ত গিয়েছেন নিশ্চয়ই? আমার মতে সেই এই যুদ্ধের নায়ক। মর্টারবহনকারী ছোট গাড়ি দেখা মাত্রই স্নাইপার তাপস কে যুদ্ধে আনুন। একটু খেয়াল করলেই বুঝবেন, বড় গাড়ী থেকে অন্যান্য হানাদাররা পজিশন নেয়ার আগেই হানাদারের মর্টারম্যান পজিশন নিয়ে নেয়।
আর তাই অন্যদের পজিশন নেয়ার আগের সময়টাই মর্টারম্যান কে দোযখে পাঠানোর উপযুক্ত সময়! তাপস রিলোড হতে একটু বেশি সময় নেয়। তাই তাকে ব্যবহার করতে হবে ঠান্ডা মাথায়, টার্গেট মিস করা যাবে না। তাপস কে দিয়ে হেডশুট করানোর ইচ্ছা বাদ দিন, মর্টারম্যানকে মারতে পারলেই হল।
আর মর্টারম্যানকে না মেরে বাকি দু’জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে যুদ্ধ করতে গেলে বেশিক্ষণ টিকতে পারবেন না। মর্টারের আঘাতে স্ক্রিন কাঁপতে থাকবে, তখন টার্গেট ও ফিক্স করতে পারবেন না আপনি।
৫। শনির চরে তাপস
শনির চরে শুধু দুটো জায়গাই আছে যেখানে মর্টারম্যান পজিশন নেয়। তাপস কে দিয়ে যেকোনো মর্টারম্যান মারার পর সামান্য ও টার্গেট না সরিয়ে অন্য মুক্তিযোদ্ধার কাছে চলে যান। হয়তো দেখবেন, পরের বার ও ঠিক একই জায়গায় আবার মর্টার বসানো হচ্ছে। তখন সাথে সাথেই আপনি ফায়ার করতে পারবেন!
এই ট্রিক্সগুলো ব্যবহার করলে আশা করতেই পারেন, আপনার গেইমপ্লে’র অভিজ্ঞতা আরো আকর্ষণীয় হবে। অনেকেই ইতিমধ্যে মিশন সম্পূর্ণ করেছেন, এই ট্রিক্সগুলোর কারনে হয়ত নতুন করে আসক্ত হয়ে পড়তে পারেন!
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ তাহসিন মাহমুদ, নটরডেম কলেজ।
হিরোজ অব ৭১ ভিডিও রিভিউ
:3
ধন্যবাদ।