হলো ওয়াইফাই কাভারেজ ১ কিঃমিঃ পর্যন্ত
বর্তমান প্রজন্মের স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারকারীদের কিছু ইচ্ছে, দাবি কিংবা চাহিদা বলুনতো? বেশীরভাগ স্মার্ট ডিভাইসই যখন রিচার্জেবল ব্যাটারিতে চলে, তখন ব্যবহারকারীর চেষ্টা থাকে কীভাবে কম ব্যাটারি খরচ করে কাজ সারা যায়। ওয়াইফাই এর আবেদনও কম নয়। লংরেঞ্জ ওয়াইফাই পেতে শক্তিশালী রাউটার প্রয়োজন যা আবার দামের দিক থেকে সহজলভ্য নয়। কেমন হয় যদি সহজেই লংরেঞ্জ ওয়াইফাই পাওয়া যায়?
সুপ্রিয় টেকপ্রেমী, কথাগুলো খাপছাড়া মনে হচ্ছেনাতো? আর খাপছাড়া মনে হবেনা, যখন জানবেন নতুন একটি ওয়াইফাই স্ট্যান্ডার্ড আসছে যা অনেকবেশী লংরেঞ্জ সাপোর্ট দেবে, তাও আবার কম ব্যাটারী খরচ করেই!
গত ৪ জানুয়ারি ওয়াইফাই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়াইফাই এলিয়েন্স ‘ HaLow (হলো) ’ নামের নতুন একটি ওয়াইফাই স্ট্যান্ডার্ড ঘোষণা করেছে, যা ৮০২.১১ এএইচ স্ট্যান্ডার্ডের একটি এক্সটেনশন। স্মার্টফোন এবং সবধরনের ব্যাটারিচালিত ডিভাইসের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে।
নতুন এই ‘ওয়াইফাই হলো’ ৯০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে কাজ করবে। ১ গিগাহার্টজেরও কম ব্যবহার করবে বলে অনেক শক্তিসাশ্রয়ী হবে এবং কভারেজও হবে ১ কিলোমিটারেরও বেশী! নির্মাতারা জানান, ‘ওয়াইফাই হলো’ সর্বশেষ ওয়াইফাই স্ট্যান্ডার্ড ৮০২.১১এসি থেকে দ্বিগুণ বেশী কভারেজ দিতে সক্ষম। ডাটা স্পীড থেকে কভারেজকেই এখানে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ৯৫০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড ব্যবহার করলেও প্রত্যেকটা ডিভাইস অনায়াসেই ১৫০কেবিপিএস থেকে ১৮এমবিপিএস পর্যন্ত স্পিড পাবে বলে দাবি করেছে ওয়াইফাই এলিয়েন্স। কম তরঙ্গদৈর্ঘ্য ব্যবহার করায় দেয়ালসহ যেকোনো বাধা সহজেই ভেদ করে যেতে পারবে ‘ওয়াইফাই হলো’।
নতুন এই স্ট্যান্ডার্ড কবে নাগাদ উন্মুক্ত হবে, এব্যাপারে কিছু জানায়নি সংস্থাটি। তবে ‘ওয়াইফাই হলো’র ব্যাপারে আমার মতামত, নতুন এই স্ট্যান্ডার্ডটি সময়েরই দাবি। বেশিরভাগ প্রযুক্তিপন্য যখন পোর্টেবল হওয়ার জন্যে ব্যাটারির ব্যাবহার বাড়াচ্ছে, তখন প্রোডাক্টিভিটির জন্যে তার সাথেসাথে অন্যান্য প্রযুক্তিগুলোকেও ব্যাটারি ব্যাবহার এবং সাশ্রয়ের ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে।
আপনার কি মতামত?