বিশ্বস্ত অ্যান্টিভাইরাস ম্যাক কিপার হ্যাক!
বিশ্বজুড়ে অ্যাপলের কম্পিউটার পণ্য ব্যবহারকারিদের পছন্দের শীর্ষে থাকা অ্যান্টিভাইরাস ম্যাক কিপার থেকে যে কেউ সহজেই হাতিয়ে নিতে পারে ২১ জিবির মত ডেটা ও ১৩ মিলিয়ন ব্যবহারকারীর তথ্য।
![]() |
ম্যাক কিপার অ্যান্টিভাইরাস প্রিমিয়াম |
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটিতে এধরণের ভয়াবহ ক্রুটি পাওয়ার ঘটনায় সিকিউরিটি বিষয়ক সকল পত্রিকার শীর্ষ খবরে রয়েছে ম্যাক কিপার অ্যান্টিভাইরাস। বিশ্বের শীর্ষ হ্যাকার নিউজ সাইটের তথ্যমতে ১৩ মিলিয়ন ম্যাককিপার ব্যবহারকারির নাম, ইমেইল, ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড হ্যাশ, ফোন নাম্বার, আইপি অ্যাড্রেস ও সিস্টেম ইনফর্মেশন সহজেই হাতিয়ে নেওয়া যাবে মুহূর্তেই।
উক্ত ক্রুটিটি প্রমান করে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন চেরিস ভিকেরি নামে একজন সাদা টুপির হ্যাকার তাও আবার কোন ইউজার নেম বা পাসওয়ার্ড ছাড়াই শুধুমাত্র সামান্য আইপি পরিবর্তনের মাধ্যমে!
![]() |
ম্যাক কিপার হ্যাক! |
মুলত এটাই ছিল ম্যাক ব্যবহারকারীদের নিকট সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম। এত বড় এক অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের এধরণের ক্রুটি মোটেই গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিৎ নয়।
আপনি যদি ভাবেন একটি বিখ্যাত অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম নিজের কম্পিউটারে রাখলেই আপনি হ্যাকারদের থেকে মুক্ত তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আসলে অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম মানুষের তৈরি করা সাধারণ একটি প্রোগ্রাম মাত্র, এর নিজের কোন ক্ষমতা নেই ভাইরাস সনাক্ত করার যতক্ষণ পর্যন্ত কোন প্রোগ্রামার একে চিনিয়ে দিচ্ছে যে হ্যাঁ এই কোডটি কম্পিউটারের জন্য ক্ষতিকর। সেটা হোক আপনাদের সেরা অ্যান্টিভাইরাস ক্যাসপারস্কি কিংবা বিটডিফেনডার। আমি বলছিনা অ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রাম কোন কাজ করেনা, এরা কিছুটা কাজ করে বলেই এখন বাজারে টিকে আছে এবং তা খুবই অল্প ও সীমিত।
পরবর্তীতে বিভিন্ন অ্যান্টিভাইরাস সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করার ইচ্ছে রয়েছে, সবাই দোয়া করবেন যেন সিকিউরিটি সম্পর্কে নিজে আরও জানতে পারি এবং জানাতে পারি।