ডিজিটাল প্রতারক বিডিএসঃ বিপুল প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ
ইউনিটুপে, ডুল্যান্সার, স্কাইল্যান্সার সহ গলিতে গলিতে গড়ে উঠা প্রতারনার ফাদগুলো দিনে দিনে প্রকাশিত হচ্ছে সবার সামনে, তবে বিপুল সংখ্যক মানুষকে পথে বসিয়ে। যার পিছনে প্রদান কারন গুলো হলঃ অতি লোভ, বসে টাকা লাভের আশা, কিছু না জেনেই ধনী হবার ফিল্মী আকাঙ্খা, অজ্ঞতা, নৈতিকভাবে দূর্বল অবস্থা। ডিজিটাল প্রতারক ডুল্যান্সার পালিয়েছিল ৫০০ কোটি টাকার বেশি নিয়ে, স্কাইল্যান্সারের ফাদে পা দিয়ে কেদেছে অনেকেই, এর আগে পরে আরো অনেক হায় হায় কোম্পানিই এসেছে। আজকের গল্প হবে বিডিএস নামক আরেকটি প্রতারক চক্রকে নিয়ে…..
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আউট সোর্সিং নামধারী প্রতিষ্ঠান বিডিএস ক্লিক ওয়ান কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আসবাবপত্রও লুট করেন তারা। মঙ্গলবার দুপুরে ১৫ নম্বর সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করলে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় ওই এলাকায় প্রায় আধ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে টাকা আয়ের ভুয়া প্রলোভন দেখিয়ে বিডিএস ক্লিক সেন্টার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতিষ্ঠানটি সিকিউরিটি সার্ভিসেস নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।
সোমবার গ্রাহকদের সঙ্গে কোম্পানির মালিক শাহেদ করিমের বাকবিতণ্ডা হয়। ওই রাতেই মালিকসহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা কার্যক্রম বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এ খবরে গতকাল সকাল থেকেই শত শত বিনিয়োগকারী ও গ্রাহক বিডিএস কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। দুপুর ২টার দিকে কয়েক হাজার গ্রাহক তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালান।
রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি জানান, তিনি বিডিএসে ৮৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। এ ছাড়াও ইন্টারনেটে ক্লিক বাবদ এক লাখ টাকার বেশি পাওয়ার কথা।
ধানমণ্ডি থানার এসআই মীর শরীফুল ইসলাম জানান, টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে।
চক্রটিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভাংচুরের বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
সৌজন্যে: সমকাল