ইউএসবি ওটিজি পরিচিতি
স্মার্টফোন নিত্যদিনের সঙ্গী যা বহনযোগ্যতার কারনে গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্টডিভাইস দিয়ে গেমিং, বিনোদন, অফিস জব সবই হয়। যদি সাথে USB On-The-Go, ইউএসবি ওটিজি (OTG) কিবা ওটিজি ফিচার থাকে৷ যা হোস্ট হিসেবে ইউএসবি ডিভাইসগুলোকে অন্য ইউএসবি ডিভাইসগুলোর সাথে যুক্ত করে। ওটিজি কেবল ডাটা স্থানান্তর ছাড়াও অনেক ভ্যারাইটিতে সক্ষম, তা জানেন তো?
কিছু কাজে কি আপনি পিসি’র অভাববোধ করবেন, যা পিসি’তে আরো সহজে ও তাড়াতাড়ি করা যেতো?
যেমন ধরুন বড় কোনো কিছু টাইপ করছেন, ফোনের ছোট্ট কীবোর্ডে টাইপ করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেননা, লেখার গতি কমে যাচ্ছে। আবার ধরুন গেইম খেলছেন- মনে হচ্ছে হাতে যদি জয়স্টিক থাকতো! পেনড্রাইভ সহ এক্সটার্নাল স্টোরেজ গুলো মোবাইলে এক্সেস করতে পারলে আপনার কাজের সুবিধা হত?
হ্যাঁ টেকপ্রেমী, এই সমস্যাগুলোর সমাধান হল ইউএসবি ওটিজি-যা যেকোনো ইউএসবি এক্সটার্নাল ডিভাইস সহজেই আপনার স্মার্টফোনে যুক্ত করে দেবে!
ইউএসবি ওটিজি কি?
সাধারনত মোবাইল ডিভাইসগুলো (স্মার্টফোন,কীবোর্ড, মাউস, জয়স্টিক,প্রিন্টার) কেবলমাত্র ইউএসবি পোর্ট দিয়ে কম্পিউটারে যুক্ত হতে পারে। ওটিজি ব্যবহার করে স্মার্টফোনেই সরাসরি এই কীবোর্ড, মাউস, গেমিং কনসোল, মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট যুক্ত করতে পারবেন,যেখানে স্মার্টফোনটি কাজ করবে ইউএসবি হোস্ট হিসেবে।
তবে তার জন্য আপনার স্মার্টফোনটিকে অবশ্যই হতে হবে ইউএসবি ওটিজি সাপোর্টেড।
কীভাবে বুঝবেন আপনার ডিভাইস ওটিজি সাপোর্ট করে কিনা ?
এই লোগোটি যদি আপনার ডিভাইস এর প্যাকিং বক্সে মুদ্রিত থাকে, তবেই বুঝবেন ডিভাইসটি ওটিজি সাপোর্টেড। হাতের কাছে বক্স না থাকলে ইন্টারনেটে আপনার ফোনের স্পেসিফিকেশন দেখে নিন।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
ইউএসবি ওটিজ কেবলে দুটো পোর্ট থাকে। একটি ফিমেল পোর্ট-যেখানে আপনি এক্সটার্নাল ডিভাইস যুক্ত করবেন। আরেকটি মাইক্রো ইউএসবি মেল পোর্ট-এটি সরাসরি ফোনে সংযুক্ত হবে।
আপনার ডিভাইসটি যদি সাপোর্টেড হয়, তবে আপনার শুধু দরকার হবে একটি ওটিজি কেবল-যা বাজারে মোটামুটি দামেই কিনতে পাওয়া যায়।
এছাড়া ফোনের সাথেই আজকাল কেবল দেয়া হয়- বিশেষ করে প্রচলিত রিব্র্যান্ডেড স্মার্টফোনগুলোর সাথে।
ছবিতে আমরা একটি সাধারন ওটিজি কেবল দেখতে পাচ্ছি।
কী কী করতে পারবেন?
মোবাইল টাইপ করতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না? ওটিজি দিয়ে কীবোর্ড যুক্ত করুন, টাইপ করুন তুমুল গতিতে। গেমস খেলতে গিয়ে জায়গা মত টাচ করতে না পারায় পয়েন্ট হারাচ্ছেন? গেমিং কনসোল,জয়স্টিক লাগিয়ে খেলতে শুরু করুন। পেনড্রাইভ কিংবা এক্সটারনাল স্টোরেজ আছে, ফোনে যুক্ত করুন ওটিজি দিয়ে। সরাসরি ফাইলগুলো ব্যবহার করতে পারবেন,মুভি দেখতে পারবেন,গান শুনতে পারবেন মোবাইলের মেমোরি’তে সেইভ করা ছাড়াই। এনড্রয়েড স্মার্টফোন দিয়েই মিউজিক কম্পোজ করতে চান? এমআইডিটি কীবোর্ড, কন্ট্রোলার,ইনপুট ইন্সট্রুমেন্টস,ভোকাল যা ইচ্ছা যুক্ত করতে পারেন ওটিজি দিয়ে। স্মার্টফোনটির যদি ক্যপাসিটি থাকে, আপনি হাবের মাধ্যমে একসাথেই একাধিক ডিভাইস যুক্ত করতে পারবেন।
মোটকথা আপনার এন্ড্রয়েড ডিভাইসটি যদি হাই কনফিগারেশনের হয় তবে আপনি সাচ্ছন্দ্যেই এক্সটার্নাল ইন্সট্রুমেন্টস যুক্ত করে ডিভাইসটিকে অনেক বেশি প্রোডাক্টিভ করে তুলতে পারবেন। আর হাই কনফিগারেশনের না হলেও এক্সটার্নাল ইন্সট্রুমেন্টসের ব্যাবহার আপনাকে আরোবেশি গতিময়তা দিবে, এটি নিশ্চিত।
- তো আপনার ডিভাইসটি ওটিজি সাপোর্টেড?
- ওটিজির কোন ফিচারটি আপনার বেশি ভালো লেগেছে?
আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন টেকমাষ্টারব্লগ কমিউনিটিতে।