ভুল বানানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকা রক্ষা!
ভূল থেকে যদি হয় দারুন কিছু, তাহলে সে ভূলই ভালো। হ্যাকাররা ওত পেতে ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে। টেকনিক্যাল দিক কম্প্রোমাইজ করে যখনই ফান্ড ট্রান্সফার করতে যাবে তখনই বাধে বিপত্তি। সামান্য বানান ভূল, বেচে যায় কয়েকশ কোটি টাকা। বিস্তারিত টেকপ্রেমী মেহেদী হাসান পলাশ লিখছেন।
ভালো লিখেও ভুল বানানের জন্য পরীক্ষায় নাম্বার কাটা গেলে কারই বা মন খারাপ হয়না? কারো আবার ভুল বানানের জন্য চাকরীটাই যায়। ফেইসবুকে বানান ভুল হলে তো বন্ধুগোষ্ঠীর ট্রল কিংবা স্ক্রিনশট পচানি আছেই। কিন্তু এবার হ্যাকার বানান ভুলের কাজ করে বাঁচিয়ে দিলেন দেশের প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার! কি বিস্ময়কর ব্যাপার তাইনা, বানান ভুলের জন্য যদি দেশের টাকা বাঁচে তাহলে এখনই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, ভুল থেকে যদি ভালো কিছু হয় তাহলে ভুল করাই ভালো!
৫ ফেব্রুয়ারি, আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিসার্ভে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হতে ট্রানজেকশনের প্রায় ডজন খানেক অনুরোধ আসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবহৃত সুইফট কোডের মাধ্যমে হ্যাকাররা সফল চারটি ট্রানজেকশন করে। যাতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৮১ মিলয়ন ডলার।
৫ম ট্রানজেকশন, লক্ষ্য ফিলিপাইনের একটি বেসরকারি অর্গানাইজেশন “শালিকা ফাউন্ডেশান” (Shalika Foundation) ২০ মিলিয়ন ডলার ট্রান্সফার করা। কিন্তু ট্রানজেকশনের সময় হ্যাকার ভুল করে লিখে ফেললেন শালিকা “ফেনডেশান” (Shalika Fandation)!
বানানে গড়মিল দেখে ফেডারেল রিসার্ভ সিস্টেম থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককের কাছে ট্রানজেকশন ক্লেয়ারেন্স চাওয়া হল। বাংলাদেশ ব্যাংক সবকিছু জানতে পেরে ফেডারেল রিসার্ভ ব্যাংক থেকে তাদের সকল ট্রানজেকশান বন্ধ করার অনুরোধ করেন। যার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অবশিষ্ট ১ বিলিয়ন ডলার বেঁচে যায়।
যদিও হ্যাক হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার এখনও উদ্ধার সম্ভব হয়নি তবুও এই ঘটনার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে থাকা অবশিষ্ট ১ বিলিয়ন ডলার প্রতারনার হাত থেকে রক্ষা পেল বাংলাদেশ ব্যাংক।
সূত্র- রয়টারস, হ্যাকার নিউজ