মোবাইলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক কতটা নিরাপদ?
স্মার্টফোনের প্রাইভেসি সুরক্ষায় এখনকার সবচেয়ে বেশি চলমান জনপ্রিয় প্রযুক্তি হচ্ছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক, ব্যবহারকারী এবং স্মার্টফোন নির্মাতাদের কাছে এটিই সবচেয়ে অত্যাধুনিক ডিভাইস লকিং প্রযুক্তি। কিন্তু হতাশার বানী দিয়েছেন মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা, তাদের দাবি অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আঙ্গুলের ছাপের অত্যাধুনিক এই সেন্সর লক একটি প্রিন্টার ও মসৃণ কাগজ ব্যবহার করে সহজেই খুলে ফেলা সম্ভব।
বিশেষ ধরণের কার্বনের কালি ব্যবহার করে কাগজে আঙ্গুলের ছাপের একটি ৩০০ডিপিআই স্ক্যান করে প্রিন্টের পর তা আঙ্গুলের শেষ প্রান্তে স্থাপন করে একজন ইউটিউবার ইতিমধ্যে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৬ আনলক করে দেখিয়েছেন। সেই একই পদ্ধতি ব্যবহার করে যে কোন অ্যান্ড্রয়েডে সহজেই‘লক’ খুলতে পারবেন বলে জানিয়েছে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি-এর গবেষকরা।
গবেষক কাই চাও এবং অনিল জেইন মন্তব্য করেন, “এই পরীক্ষা বলে দিচ্ছে দ্রুত এই নিরাপত্তা জোরদার করা উচিত,অন্যথায় গ্রাহকদের ডেটা প্রাইভেসি হুমকির সম্মুখীন হবে।বিশেষ করে যারা মোবাইলের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত কাজ করেন।” অন্যদিকে, আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলো নিরাপত্তার স্বার্থে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে, তখন তাদেরকে আর কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে ‘ব্যাকডোর’ সফটওয়্যার চাইতে হবে না।
এদিকে স্যামসাংয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, “এই জালিয়াতির মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বের করার জন্য বিশেষ কিছু যন্ত্র, বিশেষ পরিস্থিতি এবং মোবাইল মালিকের উপস্থিতিও প্রয়োজন।”
কিন্তু দুঃখ জনক ব্যাপার হচ্ছে আইফোন ৬এস এর ফিঙ্গারপ্রিন্টে অধিক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় এখনও পর্যন্ত কেউই এটি বাইপাস করতে পারেন নি এবং হুওয়াই টেকনলোজিসও নতুন প্রযুক্তির ৩৬০ ডিগ্রি ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইতিমধ্যে ব্যবহার করছে।