বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন করেছে মাত্র ৪.৫ কোটি!
সারাদেশে ১৩কোটি ১০লাখ সিমের মধ্যে নিবন্ধিত হয়েছে মাত্র ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার ৫৫১ টি । মানে বর্তমানে চালু থাকা সিমের মাত্র ৩৫শতাংশ সিম ই নিবন্ধিত হয়েছে এখনো । তবে আরো ৮০ লাখ ৪১ হাজার ১৪৭ গ্রাহক সিবন্ধন করা সত্তেও তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট না পাওয়ায় তাদের সিম নিবন্ধিত হয়নি। গত রোববার দুপুরে ফার্মগেটে নিজের সিম নিবন্ধন শেষ করার পর এসব তথ্য জানান টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ।
২০ মার্চ পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ২ কোটি ৫৪ লাখ, বাংলালিংকের ১ কোটি ৩৮ লাখ, রবি আজিয়াটার ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার, এয়ারটেলের ১৮ লাখ ১৭ হাজার ও টেলিটকের ১ লাখ ৮২ হাজার সিম এবং সিটিসেলের ২৯ হাজার সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়েছে। যা আসলে মোট সিমের মাত্র ৩৫ শতাংশ । অপরদিকে সরকার ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে এই সিম নিবন্ধন কাজ শেষ করার ঘোষনা দিয়েছে । যা বরতমান সরকারের জন্য আসলেই একটি বড়োসড়ো চ্যালেঞ্জ ।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের জন্য প্রথমে সবাই বেশ সাড়া দিলেও যখনি এই আঙ্গুলের ছাপের সংরক্ষন নিয়ে প্রশ্ন উঠে তখনি সব উত্তেজনায় ভাটা পড়ে। কারন বিশ্বে শুধুমাত্র একটি দেশেই এর আগে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধিত হয়েছিলো যা ছিলো পাকিস্তান। আর তার পুরো প্রক্রিয়াটির কোনো ইতিবাচক ফল ই পাওয়া যায়নি । বরং অনেক ক্ষতি ই হয়েছে। সে হিসেবে বাংলাদেশ কিভাবে পাকিস্তানকে অনুসরন করে সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিলো ঝড় বয়েছিলো সামাজিক মাধ্যমগুলোতে… এমনকি হাইকোর্টে রিট ও করা হয়েছিলো এই নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে! লিগ্যাল নোটিশ ও পাঠিয়েছেন এক আইনপজীবী। তারপরেও থেমে থাকেনি সিম রেজিস্ট্রেশন ।