ঝড়ে ৩০-৪০% মোবাইল নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত
সাম্প্রতিক সময়ে ঝড়ের তাণ্ডবে ঘুম হারাম মোবাইল কোম্পানিগুলোর শত শত কর্মীর। এক-তৃতীয়াংশের বেশি মোবাইল নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশব্যাপী। গ্রাহকের নিরবচ্ছিন্ন সেবা অব্যাহত রাখতে দিনরাত কাজ করে চলছে টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব জানিয়েছে, গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড ঝড়ে সারা দেশে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির মাত্রা বেশি হয়েছে দুদিনের প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টিতে।
ঝড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় বিটিএসগুলো সচল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে প্রায় ৫০ শতাংশ বিটিএস সাইটে বিদ্যুৎ নেই। জেনারেটর দিয়ে বিটিএস সচল রেখে গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে কোম্পানিগুলো।
বিটিএস (বেইজ ট্রান্সিভার স্টেশন) হলো মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিচালনার জন্য বেতার তরঙ্গ সংশ্লিষ্ট একটি যন্ত্র। প্রতিটি বিটিএসে ট্রান্সমিটার ও রিসিভার থাকে। বিটিএস বসানো হয় মোবাইল টাওয়ারগুলোতে। সারা দেশে মোবাইল অপারেটরদের প্রায় ৩৪ হাজার বিটিএস রয়েছে।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের বহিঃযোগাযোগ বিভাগের প্রধান সৈয়দ তালাত কামাল বলেন,
‘আমরা কোনোভাবেই গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবার মান থেকে বঞ্চিত করতে রাজি নই। গ্রামীণফোনের রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক। তাই আমাদের দায়িত্বও অনেক বেশি। নেটওয়ার্ক চালু রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ খুই গুরুত্বপূর্ণ। যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, সেখানে আমরা বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক চালু রাখছি।’
তিনি বলেন, গ্রামীণফোনের টেকনোলজি বিভাগের কয়েক শ কর্মী দিনরাত ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। তাই এখন পর্যন্ত গ্রাহকেরা তেমন সমস্যায় পড়ছেন না।
রবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (কমিউনিকেশনস ও করপোরেট রেসপন্সিবিলিটি) ইকরাম কবীর বলেন,
বিটিএসগুলো চালু রাখতে এ মুহূর্তে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ জরুরি। আমাদের গ্রাহকেরা যাতে কোনো সমস্যায় না পড়েন, এ কারণে এ বিষয়টিতে আমরা জোর দিচ্ছি। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করছি। আমাদের কর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
তথ্য সহায়তাঃ প্রথমালো