সফলতার রহস্য নিহিত সত্যতে
মানুষের ব্রেইন অদ্ভুত এবং অসাধারণ একটা জিনিস। গড়ে শরীরের মাত্র ২% ভর হলো আমাদের মস্তিষ্ক। কিন্তু আমাদের শরীর গড়ে যে পরিমাণ শক্তি বা ক্যালরি খরচ করে তার ২৫% একা একা শুধু আমাদের মস্তিষ্ক খরচ করে ফেলে। আর যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলছি তার মজাটাই এখানে।
• নানান পরীক্ষা এবং গবেষণায় দেখা গেছে, যারা মিথ্যা কথা বলে তাদের জীবনে সফলতার হার অনেক কম। তারা সাধারণত ভালো কিছু করতে পারে না। • ( আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের কথা বলার দরকার নাই। তারা এক্সসেপশনাল। কেননা আমরাও এক্সসেপশনাল। আর মিথ্যা এবং অন্যায় আমাদের একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে। )
এখন কেন যারা মিথ্যা বেশি বলে তাদের সফলতার হার কম, তা খুবই মজার। ব্যাপারটা একদমই গাণিতিক। আমরা যখন সত্যি বলি তখন আমাদের ব্রেইন খুব বেশি কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। যে তথ্য আছে তা শুধু ডেলিভারি দিয়ে দেয়। কিন্তু যখনই মিথ্যা বলতে হয় ব্রেইন দুইভাগ হয়ে কাজ শুরু করে। একভাগ প্রথমে সত্যটাকে সাজায়। অন্য ভাগ এটার মিথ্যা করা নিয়ে কাজ শুরু করে এবং মিথ্যাটাকে সত্যি বলে সাজানোর চেষ্টা করে। ফলে যতক্ষণ মিথ্যা বলতে থাকে ততক্ষণই ব্রেইনে কমপক্ষে দ্বিগুণ কাজ করতে হয়। অনেক সময় এটা ৩-৪ গুণও হয়ে যায়। আর ফলে ব্রেইন প্রয়োজনের তুলনায় কমপক্ষে দ্বিগুণ ক্যালরি পোড়ানো শুরু করে। আর এর ফলাফলও স্বাভাবিক। কিছুক্ষণ পরেই শরীর শক্তি হারিয়ে ফেলে। তখন আর স্বাভাবিক কাজ করার জন্য আমাদের ব্রেইন শক্তির যোগান পাবে না। আর ফলাফল হিসেবে আপনি যে কাজটা করছেন তাতে মনোযোগ কম দিতে পারবেন এবং সফল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কমে যাবে।
তাই যাদের কোন লক্ষ্য আছে এবং যারা নিজেদেরকে কোন ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চান তারা অবশ্যই মিথ্যা বলা পরিহার করা শুরু করেন। শুধুমাত্র আনন্দের জন্যও মানুষ অনেক মিথ্যা বলে। এর পরিহার আবশ্যক।
তথ্যসূত্রঃ ইয়াসিন কবির