মৌলিক অধিকারে বিনামূল্যে ইন্টারনেট
উত্তর ইউরোপের ১৩ লক্ষ জনবসতিসহ একটি দেশ যেখানের সরকার মনে করেন ইন্টারনেট নাগরিকদের একটি মৌলিক অধিকার। তাই এস্তোনিয়ার যে-কোনো স্থানে পাবেন বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা। শুধু বিনামূল্যে ইন্টারনেটই নয়, সেখানকার প্রায় সব ধরণের সরকারি সেবাও অনলাইনভিত্তিক৷
বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া মার্কোস ইসোটাম নামের এক শিশু প্রোগ্রামিংয়ে হাতে খড়ি দিয়েছে পাঁচ বছর বয়স থেকে৷ এই মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মিনি রোবট নিয়ন্ত্রণের প্রোগ্রাম বানিয়েছে সে৷ ক্ষুদে এই প্রোগ্রামার বলছে, ‘‘সফটওয়্যার বানাতে হলে অবশ্যই আপনাকে প্রোগ্রামিং এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে পারদর্শী হতে হবে, যেন আপনি যা চান, রোবট ঠিক তাই করে৷”
এস্তোনিয়ার তথ্য-প্রযুক্তির উন্নতির পেছনে রয়েছেন সরকারের আইটি উপদেষ্টা সিম সিকুট৷ সেখানে চাইলেই একজন নাগরিক তার ডিজিটাল আইডি দিয়ে তাঁর সব তথ্য অনলাইনেই দেখতে পারে৷ যেমন ব্যক্তিগত তথ্য ও চিকিৎসা, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং আয় সংক্রান্ত তথ্য৷ মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আবার আয়করও দাখিল করতে পারেন৷
তবে এতে সামান্য কিছু সমস্যা থাকলেও এর সমাধানও রয়েছে নাগরিকদের নিজের হাতে, ফেইসবুকের মতই প্রাইভেসি সেটআপ করা না থাকলে বা আগে থেকে ব্লক না করলে অন্যরাও এ সব তথ্য দেখতে পাবেন৷ কিন্তু সিম সিকুট বলেন, ‘‘আমরা নাগরিকদের প্রাইভেসি রক্ষার সুযোগ দিয়েছি৷ কে বা কারা তথ্য দেখছে লগবুকের মাধ্যমে তা জানা যায় রিয়েল টাইমেই জানা যায়৷ যেমন এখানে আমি দেখতে পাচ্ছি, আমার পারিবারিক ডাক্তার ও দাঁতের চিকিৎসক আমার তথ্য দেখেছেন৷ সেটা ঠিক আছে৷ কিন্তু যদি দেখি, এমন কেউ আমার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য দেখছে, যার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, তাহলে আমি ব্যবস্থা নিতে পারি৷ এভাবে পুলিশ ও নার্সদের শাস্তি পাওয়ারও উদাহরণ আছে৷”
নাগরিক ও সরকারের সকল কার্যাদি অনলাইনে হওয়ার কারণে বছরে বেঁচে যায় প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো!
তথ্যসূত্র- (ডি-ডব্লিও)
Great Post. Thanks For it.