ম্যালওয়্যার সংক্রমণ সূচক ২০১৬
গত ৭ই জুন মাইক্রোসফট এশিয়া প্রকাশ করছে তাদের ম্যালওয়্যার সংক্রমণ সূচক ২০১৬। এই সূচকে ম্যালওয়্যারের ঝুঁকিতে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়! এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ম্যালওয়্যার আক্রমণের মাত্রা অনুযায়ী এ তালিকা তৈরি করে মাইক্রোসফট এশিয়া। যার মধ্যে সাইবার অ্যাটাকের শীর্ষে রয়েছে ম্যালওয়্যার এবং দ্বিতীয়তে ডিডিওস অ্যাটাক।
ম্যালওয়ার সংক্রমণের সর্বাধিক ঝুঁকির দেশগুলোর প্রথমে রয়েছে পাকিস্তান, দ্বিতীয় ইন্দোনেশিয়া, তৃতীয় বাংলাদেশ এবং চতুর্থ নেপাল। এই চারটি দেশই ৪০ শতাংশেরও বেশি ম্যালওয়ার আক্রমন ও সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তিতে উন্নত দেশগুলোতে যার হার ২০.৮ শতাংশেরও কম।
মাইক্রোসফটের এ তালিকায় থাকা সবচেয়ে ক্ষতিকর তিনটি ম্যালওয়্যার হলো গ্যামারু, স্কিয়াহ ও পিলস। গ্যামারু সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সাহায্যে খুব দ্রুত ছড়ায়। অনভিজ্ঞ কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা স্কিয়াহ ও পিলস ম্যালওয়্যারে বেশি আক্রান্ত।
ম্যালওয়্যার অনেকটা কম্পিউটার ভাইরাসেরর মতই এক ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম, যা কম্পিউটারে অনুপ্রবেশ করে স্বাভাবিক কাজ বিঘ্নিত করে এবং নানা রকম ক্ষতি করে থাকে।
কম্পিউটারের ম্যালওয়্যার হচ্ছে এমন একটি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার যা কম্পিউটার এর স্বাভাবিক কার্যকলাপ কে ব্যাহত করে এবং কম্পিউটারে থাকা গুরত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে | ম্যালওয়্যার তৈরির মূল উদ্দেস্য হচ্ছে অর্থনৈতিক , ব্যবসায়িক বা বাক্তিগত তথ্য চুরি বা হস্তগত করার জন্য | অনেক ক্ষেত্রে ম্যালওয়্যার এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সরকারী বা কর্পোরেট তথ্য চুরি ও করা হয়ে থাকে |
মাইক্রোসফটের নিরাপত্তা প্রদানকারী সংস্থা ‘ম্যালওয়ার প্রোটেকশন সেন্টার’ এবং ‘মাক্রোসফট সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট’র দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সূচকটি প্রকাশ করা হয়েছে।
অনুবাদ- মেহেদী হাসান পলাশ
তথ্যসূত্র- মাইক্রোসফট নিউজ