আসছে গুগলের নিজের স্মার্টফোন
অ্যান্ডয়েডের ভবিষ্যত কে রক্ষা করতে গুগল এবার তৈরী করতে যাচ্ছে নিজের ফোন। যদিও এখন পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতি ৫ জন স্মার্টফোন ব্যাবহারকারীর মাঝে চারজন ই অ্যান্ড্রয়েড ব্যাবহার করে । কিন্তু হুট করেই অ্যন্ড্রয়েড কে নিয়ে কিছুটা শংকিত গুগল। অ্যান্ডয়েডের যেকোনো ভার্সন ই গুগল রিলিজ দিলেও তা ব্যবহারকারীদের হাতে পৌছায় অনেক দেরিতে। তাছাড়া অনেক ফোনকে আপডেট করাও হয়না। এর ফলে নানা সিকিউরিটি ফাক ফোকর থেকেই যায়। আর এই সমস্যার মূল কারন হলো কোম্পানিগুলো। তারা সব মোবাইলে ঠিক সময় মতো সাপোর্ট পৌছায় না। এর জন্যই গুগলের এই পদক্ষেপ।
আমরা আগেই বলেছিলাম নিজেদের প্রোডাক্ট তৈরী করতে যাচ্ছে গুগল। নিজেদের স্মার্টফোন তৈরী ও সেই পরিকল্পনার মধ্যেই পড়ে। এর আগে গুগল মটোরোলা,হুয়াইয়ে,স্যামসাং,এলজি এর মতো মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথভাবে নেক্সাস সিরিজের ফোনগুলো বের করলেও এবারের উদ্যোগে হার্ডওয়্যার -সফটওয়্যার সব ই হবে গুগলের । এরই অংশ হিসেবে কিছুদিন আগেই মটোরোলার রিক অস্টারলোকে নিজের দলে ভিড়িয়েছে গুগল। তবে গুগল থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে গুগল এবার সবার আগে নজর দিবে ক্যামেরার দিকে। মোবাইলের প্রুযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে গুগল ম্যাপ সহ অন্যান্য সুবিধাগুলোকেও আরো উন্নত করার চিন্তাভাবনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। আর খুব সম্ভবত চিপসেট হিসেবে থাকছে কোয়ালকম কিংবা মিডিয়াটেক ।
গুগলের নিজস্ব ফোন আসলে সুবিধাঃ
- অ্যান্ডয়েড সিকিউরিটির আপডেট পাওয়া যাবে দ্রুত।
- বাগ ফিক্সিং এর আপডেট দ্রুত পাওয়া যাবে।
- নতুন ভার্সন আসলে তার আপডেট পেতে ৩-৪মাস অপেক্ষা করতে হবেনা।
- গুগলের ফোন হওয়ার কারনে গুগলের সার্ভিসগুলো যেমন ম্যাপ,ভয়েস ইত্যাদির সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যাবে।
- এছাড়া গুগলের প্রোডাক্ট তাই মানের ব্যাপারেও নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে
গুগলের নিজস্ব ফোন আসলে অসুবিধাঃ
- বাদবাকি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ব্যবসা হুমকির মুখে পড়বে।
- গুগল ব্যবহারকারীদের নানা তথ্য ব্যবহার করে তাদের সার্ভিস আপডেট করতে পারে। যা তৃতীয় কোনো কোম্পানি করেনা। এর ফলে আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য ও হুমকির মুখে পড়তে পারে। তবে এটি এখনো নিছকই এক কল্পনা।
- ইউরোপীয় কমিশনকে উসকে দিতে পারে গুগলে এই পদক্ষেপ। এর আগের গুগলকে অনেক বার সতর্ক করেছে ইউরোপীয় কমিশন। তাদের মতে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম আর প্লে স্টোরের সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে সার্চ ইঞ্জিন আর ক্রোমকে প্রভাবিত করছে গুগল।