রবি-এয়ারটেল একীভূত করায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে রবি-এয়ারটেল একীভূত প্রস্তাব। খুব দ্রুতই এ প্রস্তাব পৌছে যাবে বিটিআরসির কাছে, তারপর বিটিআরসি দুই কোম্পানিকে নিয়ে চূড়ান্ত বৈঠকে বসবেন এবং তাদের মধ্যকার আলোচনায় দুপক্ষের কোনো আপত্তি না থাকলে সব কিছু বিবেচনা করে বিটিআরসি এ প্রস্তাবের অনুমোদন দিবে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিটিআরসির কাছে একীভূত হওয়ার আবেদন করে এয়ারটেল ও রবি। পরে অনেক প্রক্রিয়া শেষে গত ১৩ ই জুলাই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুই কোম্পানির তরঙ্গ একীভূত করার ফি বা মাশুল নির্ধারন করা হয়। সেখানে দুই কোম্পানি একভূত হওয়ার মাশুল ১০০কোটি টাকা নির্ধারিত হলে পরে অনুমতির জন্য প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয় ২৪ই জুলাই । তবে তরঙ্গ একীভুত করতে সব মিলিয়ে খরচ হতে পারে ৬০০কোটি টাকার ও বেশি। টুজি তরঙ্গ একীভুত করনে এয়ারটেলের ১ হাজার ৮০০ মেগাহার্টজ বা টুজি ব্যান্ডের ১৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য মেগাহার্টজ প্রতি ৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা হিসেবে ৫০৭ কোটি টাকা ও একীভূতকরণ ফি হিসেবে ১০০ কোটি টাকা নেওয়ার সুপারিশ করা হয় আলোচনায়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এসব সুপারিশ অপরিবর্তিত রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। আর ৫ মেগা হার্জের থ্রিজি তরঙ্গের জন্য কোনো ফি নিচ্ছেনা বিটিআরসি ।
বর্তমানে ৫ কোটি ৬৯ লাখ গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে আছে গ্রামীণফোন। আর ৩ কোটি ১৯ লাখ গ্রাহক নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলালিংক। তবে এ চুক্তি বাস্তবায়ন হলে ৪কোটির ও বেশি গ্রাহক নিয়ে দুই নাম্বারে চলে যাবে রবি(রবি-এয়ারটেল)।
আরও পড়ুন: