ইউরোপে অ্যাপলের ইতিহাস নতুন করে লিখছে ইসি
ইউরোপে অ্যাপলের ইতিহাস নতুন করে লিখছে ইউরোপীয় কমিশন (ইসি), ইসির সাথে কর বিরোধ নিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা “টিম কুক”। প্রযুক্তি বিশ্বে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অ্যাপল-ইসির মাঝের এই কর দ্বন্দ্ব।
অ্যাপলকে ১ হাজার ৪৫০ কোটি ডলার কর দিতে হবে বলে ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) একটি ব্যাখ্যা রয়েছে। ব্যাখ্যাটি জানলে অ্যাপল ও ইসির কর দ্বন্দ্বকে মনে হতে পারে গুজব জাতীয় কিছু।
অ্যাপলের করের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক যেমন হচ্ছে, তেমনি কিছু প্রশ্নও তুলেছেন বিশ্লেষকরা। কর্মী, অফিস অথবা কোনো দেশে নিবন্ধন ছাড়া কেমন করে একটি কোম্পানি গঠন করল অ্যাপল? আয়ারল্যান্ডই বা কেন একবার নয় দুবার জানিয়েছিল এভাবে কোম্পানি গঠন বৈধ? ইউরোপীয় কমিশন বলছে, ২০১৪ সাল সময়কালীন কর পরিশোধ করতে হবে অ্যাপলকে। সেই কর কেন আয়ারল্যান্ড সংগ্রহ করতে চাইছে না? এ প্রশ্নগুলোর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর এড়ানো রোধে পথপ্রদর্শক হিসেবে মঙ্গলবার এ দ্বন্দ্ব শুরু করেন ইসির কমিশনার “মারগ্রেথ ভেস্তেগার”। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ স্টিগলিটজ বিষয়টিকে অভিহিত করছেন ‘বিশ্বায়নের অন্ধকার প্রান্ত’ বলে। আর এ কর দ্বন্দ্বে জড়িত রাজনীতিও। একজোট হয়ে রাজনীতিকরা আর্থিক জালিয়াতির বিরুদ্ধাচরণ করতে পারেন। কিন্তু নিজেরা একে অন্যের প্রতিপক্ষ হয়ে গেলে করের হার ও প্রাপ্তির অঙ্ক কমে যাবে। ফলে সরকারি ঘাটতি বাড়বে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবারই একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেন অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক। তিনি লেখেন, অ্যায়ারল্যান্ডসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য কিছু দেশেও শীর্ষ করদাতা অ্যাপল।
আয়ারল্যান্ডের কর কর্তৃপক্ষ একবার নয়, দুই দুইবার রায় দিয়েছে যে অ্যাপলের কোম্পানি গঠন পদ্ধতি ছিল বৈধ। কুক বলছেন, ইউরোপে অ্যাপলের ইতিহাস নতুন করে লিখছে ইসি। এতে থাকছে না আয়ারল্যান্ডের করনীতি ও প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক কর ব্যবস্থা। এ অবস্থায় অ্যাপল ও আইরিশ সরকার ইসির নীতিমালার বিরুদ্ধে আপিল করার কথা ভাবছে।