অ্যাপল প্রোজেক্ট ‘ম্যাপ’ এ কাজের সুযোগ
অ্যাপল কোম্পানি তাদের ম্যাপিং সার্ভিস দিয়ে টেক্কা দিতে পারছেনা গুগল ম্যাপ এর সাথে, তাই অ্যাপল নিচ্ছে নানান পদক্ষেপ, করছে লেন দেন। এই নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন টেকপ্রেমী আতিকুর রহমান রনি।
টেক জায়ান্ট অ্যাপল, তাদের প্রতিষ্ঠানের ম্যাপিং সেবা উন্নয়নে ফ্রিল্যান্সারদের সহায়তা নিচ্ছে। ২০১২ সালে চালু হওয়া অ্যাপল ম্যাপস এখন পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খুব একটা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি, ঠিক যতটা অ্যাপলের জন্য মানায়। আইফোন ব্যবহারকারীরা অনেকেই অ্যাপল ম্যাপ ‘র পরিবর্তে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করছেন।
অ্যাপলের নিজেদের তৈরি ম্যাপে বিভিন্ন স্থানের ঠিকানা সঠিকভাবে না আসায় লোকজন এর ওপর ঠিক ভরসা করতে পারছেনা। আর তাই ম্যাপিং সার্ভিসকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে ফ্রিল্যান্সার কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে অ্যাপল।
ফ্রিল্যান্স কর্মীরা অ্যাপল ম্যাপসে বিভিন্ন স্থান সার্চ করে তার ঠিকানা যাচাই করবেন এবং ভুল থাকলে সেগুলো সংশোধন করবেন। প্রতিটি ঠিকানা যাচাই করার জন্য গড়ে ৫৪ সেন্ট (এক ডলারের অর্ধেক বলা যায়) দিচ্ছে অ্যাপল।
এরকম একটি এন্ট্রি দেয়ার জন্য কয়েক মিনিট সময় লাগার কথা বলে জানিয়েছে ম্যাকরিউমরস।
‘ট্রাইরেটিং’ নামের এই প্রজেক্টে একজন ফ্রিল্যান্সার প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন। অথবা একজনের পক্ষে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৬০০ এন্ট্রি দেয়া যাবে।
তবে অ্যাপলের ম্যাপ ঠিক করার ঐ ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্টে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের ২০০ পেইজের একটি বই আগাগোড়া পড়তে হবে, যাতে প্রজেক্টের নিয়মাবলী উল্লেখ করা হয়েছে।
আর যে কেউ চাইলেই অ্যাপলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না। কারণ, অ্যাপল নিজেদের সাইটে এর কোনোবিজ্ঞপ্তি দেয়নি। বরং থার্ড-পার্টি ফ্রিল্যান্সিং এজেন্সি/সাপ্লাইয়ারের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়েছে কোম্পানিটি। আপনি যদি অ্যাপলে ফ্রিল্যান্স কাজ করতে চান, তাহলে
আপওয়ার্ক,ফ্রিল্যান্সার ডটকম বা এরকম প্রতিষ্ঠিত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে খুঁজে দেখুন কোনো ম্যাপিং সম্পর্কিত জব আছে কিনা। কে জানে, হয়ত আপনিও অ্যাপল কোম্পানির জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন!
তথ্যসুত্রঃ টেকরাডার