তুমুল জনপ্রিয় সারাহাহ’র উৎপত্তি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয় অ্যাপ সারাহাহ। প্রিজমার পর সারাহাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করছে।
অ্যাপটি তৈরি করেছেন সৌদি আরবের ডেভেলপার জায়ান আল-আবিদিন তৌফিক।
সারাহাহ আরবি শব্দ। এর অর্থ সৎ বা অকপটতা। এর ব্যবহার মূলত শুরু হয়েছিল কর্মক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া জানানোর ওয়েবটুল হিসেবে।
সারাহাহর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী তার নাম-পরিচয় গোপন রেখে বার্তা পাঠাতে পারেন। কোনো ব্যবহারকারী অ্যাপটিতে নিবন্ধন করে তার লিংক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করতে পারেন। ওই লিংকের মাধ্যমে যে কেউ বার্তা পাঠাতে পারবে।
যিনি বার্তা পাঠাবে তার পরিচয় জানার কোনো সুযোগ থাকছে না এবং প্রেরককে অ্যাপ এর মাধ্যমে বার্তা পাঠাতে পারবেন না। প্রেরকের বার্তার উত্তর অন্য কোনো সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে জানাতে পারেন।
অ্যাপটির ডেভেলপার জানিয়েছে, তিনি খুব সরল উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করেছেন। অ্যাপটি ব্যবহার করে যাদের অ্যাপ এ আইডি রয়েছে তাদেরকে বার্তা পাঠানো যাবে। অ্যাপটি ব্যবহার করে যাতে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা তাঁর চাকরিদাতা বা ঊর্ধ্বতনের কাছে পরিচয় গোপন করে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন, সে লক্ষ্যে এটি তৈরি। যাঁরা চাকরি হারানোর ভয়ে সামনাসামনি কিছু বলতে পারেন না, তাঁদের কিছু বলার সুযোগ করে দিতে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে।
অ্যাপটি শুধু কর্মীদের মধ্যেই নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। বন্ধু ও পরিচিতজনেরা গোপনে একে অন্যকে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবেন।
সারাহাহ শুরুতে ওয়েবসাইট হিসেবে ছিলো। তখন এটি মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তবে এটি মূলত জনপ্রিয়তা পাই সারাহাহ অ্যাপ এর মাধ্যমে। এ বছরের ১৩ জুন সারাহাহ অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোরে উন্মুক্ত করা হয়। অ্যাপটি চলে যায় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।
দ্রুততম সময়ে বিনা মূল্যের অ্যাপ হিসেবে দুটি প্ল্যাটফর্মের শীর্ষ তিনে উঠে আসে। অ্যাপটির স্ন্যাপচ্যাট সংযুক্তির ফলে এটি তরুণদের মধ্যেও জনপ্রিয় হয়।
কারো সারাহাহতে মেসেজ পাঠাতে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে না। বন্ধু শেয়ার করা লিংকে ক্লিক করেই সেখানে মেসেজ পাঠাতে পারবেন। ক্লিকের মাধ্যমে সারাহাহ ওয়েবসাইটে চলে যাবেন এবং বন্ধুকে গোপনে বার্তা পাঠাতে পারবেন।
অ্যাপটি ডাইনলোড করতে এখানে ক্লিক করুণ