ইন্টারনেট সেবার মূল্য বাড়বে ১০-১৫%
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) লাইসেন্স ফি ০১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)।
প্রস্তাবিত ফির দাম কমালেও বাড়ছে রেভিনিউ শেয়ারিং হার। নতুন প্রস্তাবনায় তা ০১ শতাংশের পরিবর্তে ০৫ শতাংশ করতে হবে। তাছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের (এসওএফ) জন্য রেভিনিউ শেয়ারিং ০১ শতাংশ নির্ধারণের কথাও বলা হয়েছে। বিটিআরসির সর্বশেষ ২০৭তম নিয়মিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,
ন্যাশনওয়াইড আইএসপির অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান লোকসানে থাকায় লাইসেন্স একুইজিশন ফি ১০ লাখ এবং জোনাল আইএসপিগুলোর ফি ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
তাতেও আপত্তি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সংগঠন আইএসপিএবির। তাদের দাবি, ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বহুগুণে বেড়ে যাবে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যয়। সেই সঙ্গে ব্যাহত হবে তথ্যপ্রযুক্তির সুষ্ঠু সেবা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক দৈনিকআমাদেরসময়কে বলেন,
আগে যেখানে এক লাখ টাকা ফি নেওয়া হতো, সেখানে ১০ লাখ টাকা অযৌক্তিক। যারা অলরেডি লাইসেন্স নিয়েছে, তারা কেন আবার রেজিস্ট্রেশন করবে। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত ইন্টারনেট ব্যবসা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাধা সৃষ্টি করবে। সরকার একদিকে বলছে, সবার কাছে সব এলাকায় কম মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে হবে। অন্যদিকে তারাই নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কার্যক্রম পর্যালোচনাসংক্রান্ত একটি সভা হয়। প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সভাপতিত্বে সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও। সেখানে আইএসপি লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি এবং প্রতিশ্রুত সেবা নিশ্চিত করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়। সেই সঙ্গে বলা হয়, প্রতিষ্ঠান শর্তানুযায়ী সেবা দিয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত হয়ে লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি অধিকসংখ্যক লাইসেন্স না দিয়ে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে তা প্রদান করতে হবে।
তথ্যসূত্র: দৈনিকামাদেরস্ময়
সেবা খরচ বাড়ালে দেশের সাধারন প্রজন্মদের বিপুল ক্ষতি হবে, শিক্ষা দিক্ষা ও industrialisationএর দিক বহু পিছিয়ে পড়বে এই দেশ।
সেবা খরচ বরং ৫০% কমান উচিৎ। দুই কোটি hand set বৃদ্ধি মানে প্রচুর ব্যবহার, মানে অতিরিক্ত মুনাফা।
এখন ইন্টারনেটের যে দাম, এরউপর আরও দাম বারালে ব্রডব্যান্ড কি আমরা সেটাই ভুলে যাবো। আর এতো দাম হিসাব করলে তখন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আর মোবাইল ইন্টারনেটর মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না।
এরকম উদ্বেগ নিলে শুদু টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যাবহার করতে পারবে আর কেও ব্যাবহার করার সামর্থ্য থাকবে না।
কিভাবে সাধারণ জনগন থেকে টাকা নিবে সরকারের শুদু এইটাই চিন্তা। কিছু কিছু বেপার শুনলে বাংলাদেশে থাকতেই মনচায় না। সরকার নিজের স্বার্থে দেশ চালায়।