ইন্টারনেটসোশ্যাল মিডিয়া

প্রতারণায় দায়ী ‘জাস্টিস ফর উইমেন, কার্যক্রম স্থগিত

সাইবার ক্রাইম ঠেকাতে ফেইসবুক এর জনপ্রিয় সহায়তা গ্রুপ ছিল ‘জাস্টিস ফর উইমেন’। নারীদের আইনি সহায়তা দেয়াই ছিল এর কাজ। ইরফীত জাহান কঞ্জ ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারী সাইবার ক্রাইম রোধে গড়ে তোলেন জাস্টিস ফর উইমেন

কিন্তু কিছু দিন  যাবত একের পর এক প্রতারনার অভিযোগ আসতে থাকে গ্রুপটির উপর। কিছু দিন আগে প্রতারণার অভিযোগে গ্রুপটি তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করেন। অর্থাৎ আর কেউ কোন পোস্ট কিনবা কোন কার্যক্রম করতে পারবে না এখন। ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার গ্রুপটির অনলাইন এডমিন দিয়াস ড্যানিয়েল জুয়েল জানান গ্রুপটির সকল কার্যক্রম চেয়ারম্যান এর নির্দেশেই বন্ধ করা হয়েছে।

এছারা প্রতারণার  অভিযোগে হেল্প এইড ফাউন্ডেশন এর মহাসচিব জুনায়েদ আহমেদ প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। তিনি তার এক ফেইসবুক পোস্ট এ জানান জাস্টিস ফর উইমেন গ্রুপটি হেল্প এইড এর নিয়ম নীতি ভঙ্গ করায় এবং অবৈধ ভাবে চালিয়ে যাবার জন্য তিনি বাধ্য হয়ে এ মামলা করেছেন এবং যারা অবৈধ ভাবে এই গ্রুপটি চালিয়ে যাচ্ছিল তাদের সবাইকে আসামী করা হয়েছে।

নারীদের নানা আইনি সহায়তা দিয়ে আসা এই গ্রুপটি অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সবার মাঝে। নারিরা কথাও সাইবার হ্যারেজমেন্ট হলে আইনি সহায়তা পেতে জনপ্রিয় এই গ্রুপটির সাহায্য নিত। কিন্তু গত কিছুদিন থেকে সেই হ্যারেজমেন্ট এর শিকার হওয়া নারীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ, ব্লাকমেইল , হুমকি, ধামকি সহ নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি জনপ্রিয় ইউটিউবার  তাহসিনেশন গত ৭ সেপ্টেম্বর জাস্টিস ফর ওয়েমেন এর  নানা  অন্যায়, অনিয়ম নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।এরপর থেকে আক্রান্ত নারিরা এবং অনেকেই গ্রুপটির উপর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে থাকে। অভিযোগ করতে বাদ দেননি গ্রুপটির সাবেক ডিরেক্টররাও। গ্রুপটির এডমিন যারা কিনা সবসময় নারীদের সহায়তা দেয়ার জন্যে  কাজ করতো তাদের বিরুদ্ধেই নারী নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে।

আগস্টে খুলনায় এক নারীকে আইনি সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে মোটা  অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ উঠেছে। এবং এতা নিয়ে থানা পুলিশ পর্যন্তও চলে গেছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রুপটির ২জন  সদস্যকে জেলে পাঠানো হয়। এর পর থেকে আরও অনেক অভিযোগ আসতে থাকে গ্রুপটির নামে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।