ব্লুবর্ন ব্লুটুথ এ আক্রান্ত ৫ বিলিয়ন ডিভাইস
স্বল্প দূরত্বের যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্লুটুথ সবচেয়ে জনপ্রিয়। ৮.২ বিলিয়নের ও বেশি মানুষ ব্লুটুথ ব্যবহার করে। তবে ব্লুটুথ ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ হল যে, ব্লুটুথ ভিত্তিক ব্লুবর্ন দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য ডিভাইস।
ইন্টারনেট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান আর্মিস ল্যাব এর তথ্য মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ব্লুবর্ন দ্বারা বিভিন্ন মোবাইল, ডেস্কটপ এবং আইওটি অপারেটিং সিস্টেম যেমন- অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, উইন্ডোজ ও লিনাক্স আক্রান্ত হয়েছে। ব্লুবর্ন ব্যবহার করে হ্যাকার যেকোনো ডিভাইস, কর্পোরেট ডাটা, সংরক্ষিত নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারে এবং ম্যালওয়্যার ভাইরাস ছরিয়ে তা হ্যাক করতে পারে। এর মাধ্যমে হ্যাকার আপনার ডিভাইসের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ও প্রবেশ করতে পারে। আর্মিস কোম্পানি কর্তৃক আরও বলা হয় যে, ব্লুবর্ন দ্বারা যেকোনো ধরণের সাইবার অপরাধ যেমন- সাইবারে গুপ্ত চর বৃত্তি, ডাটা চুরি, সাইবার আক্রমণ, যেকোনো আইওটি ডিভাইসে মালিকের বিনা অনুমতিতে প্রবেশ প্রভৃতি কাজ করা যায়।
এই কাজের জন্য আক্রান্ত ডিভাইসকে ‘ডিস্কভারেবল মোড’ এ রাখার প্রয়োজন হয়না। এমনকি হ্যাকারের ডিভাইসের সাথেও ব্লু টুথের মাধ্যমে সংযোগ করার প্রয়োজন হয়না। যদি কারো ডিভাইসে ব্লুটুথ খোলা থাকে তাহলে হ্যাকার সহজে ঐ ডিভাইসে প্রবেশ করতে পারে। তারপর ওই ডিভাইসের ‘এমএসি অ্যাড্রেস’ সংগ্রহ করে ম্যাল ওয়্যার ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়।
গুগল, মাইক্রোসফট, অ্যাপল, স্যামসাং, লিনাক্সের মতো কোম্পানিও ব্লুবর্ন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। ব্লুবর্নের কিছু দুর্বল দিকও রয়েছে। এ বিষয়ে আর্মিস কোম্পানি আক্রান্ত কোম্পানি গুলোকে অবগত করেছে। আইওএস- ১০ ব্লুবর্নের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকলেও অ্যাপলের অন্যান্য ডিভাইস যেমন- আইফোন আইপ্যাড, আইপড যাতে আইওএস ৯.৩.৫ বা এর চেয়ে নিচের ভার্সন ব্যবহার করা হয়েছে তা ঝুঁকিতে আছে। অ্যানড্রয়েডের জন্য গুগল নিউগাট ৭.০ এবং মার্শম্যালো ৬.০ ভার্সন বের করেছে। যা ব্যবহারকারীকে ব্লুবর্নের ব্যাপারে সতর্ক করে। এই সমস্যা সমাধানে মাইক্রোসফটও নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। লিনাক্স এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
আপনি যদি আপনার ডিভাইসকে এর হাত থেকে বাঁচাতে চান তাহলে যত কম সম্ভব ব্লুটুথ ব্যবহার করুন এবং সম্ভব হলে ব্লুটুথ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।