আইফোন-এক্স এ ফেসআইডি ব্যবহার
গত ১২ সেপ্টেম্বর ক্রেইগ ফ্রেডেরেগি পরিচালিত আইফোন-এক্স এর প্রদর্শনীতে দেখা যায়,ফেস আইডি তার মুখের ছবি সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় এবং তাতে পাসকোড লক চলে আসে। যার ফলে আই ফোনের এই ফিচারটির নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিতে নানা ধরণের প্রশ্ন উঠেছে।
মঞ্চে আসলে কী হয়েছিল এ নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা হয়। তবে অ্যাপলের মতে,”যদি ফেসআইডি তাতে পূর্বে সংরক্ষিত ব্যবহারকারীর মুখের নকশা বারবার চিনতে ব্যর্থ হয়, তখন তা একটি পাসকোড লকের সূচনা করে। আইফোনে টাচআইডি দ্বারা ৫ বার লক খুলতে ব্যর্থ হলে তা যেমন পাসকোড দ্বারা লক হয়ে যায়, তেমনি ফেসআইডি দ্বারা ২ বার লক খুলতে ব্যর্থ হলে তা পাসকোড দ্বারা লক হয়ে যাবে। পরে পাসকোড ব্যবহার করে আইফোনে প্রবেশ করতে হবে।“
অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অ্যাপল বুঝতে পারলো মঞ্চে আসলে কী ঘটেছিল। আইফোনটির ফেসআইডিতে ক্রেইগ ফ্রেডেরেগির মুখচ্ছবি সংরক্ষণ করা ছিল। মঞ্চে ক্রেইগ ফ্রেডেরেগির পূর্বে অনেকেই ডিভাইসটি নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল। তারা বুঝতে পারেনি যে ফেসআইডি তাদের মুখের নকশা পর্যবেক্ষণ করছে। যেহেতু তাদের মুখ ক্রেইগের মতো নয়; ফলে ২বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর, আইফোনটি পাসকোড দ্বারা লক হয়ে যায়। যেভাবে এই লক সিস্টেম ডিজাইন করা হয়েছে ঠিক সেভাবে। পরবর্তীতে যে আইফোন-এক্সটি ব্যবহার করা হয়েছিল তা অবশ্য সফলভাবে মুখ সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।
ফেসআইডি অবলোহিত রশ্মির স্ক্যানিং কৌশল ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর মুখের ছবির একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করে। যাতে পরবর্তীতে ব্যবহারকারীর মুখ পর্যবেক্ষণ করে সনাক্ত করতে পারে। অবলোহিত রশ্মি ব্যবহার করার কারণে ফেসআইডি অন্ধকারে, মৃদু আলোতেও কাজ করে। এমনকি টুপি, চশমা, দাড়ি, মেকাপ ইত্যাদি ব্যবহার করলেও ফেসআইডি তার কাজ করতে পারে।
তবে আইফোন-এক্স এর ফেসআইডি ব্যবহার করা কতটা নির্ভরযোগ্য তা বোঝা যাবে নভেম্বরে আইফোন-এক্স বাজারে আসার পর। উক্ত প্রদর্শনীতে অনেকেই ফেস আইডির ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। আবার কেউ কেউ ফেস আইডি ব্যবহার করতে যেয়ে সমস্যারও সম্মুখীন হয়েছে।