২য় সাবমেরিন ক্যাবলের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু
গত ১৭.০৯.২০১৭ থেকে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জকে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি।এর আগে গত সপ্তাহের রোববার এটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিএসসিএল ডিএসই’কে জানিয়েছে, ২য় সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হওয়ায় কোম্পানিটি নতুন করে ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইটের বেশি ব্যান্ডউইডথ পাচ্ছে।
চলতি বছরের ৩১ জুলাই একবার এই ক্যাবলের উদ্বোধনের তারিখ দেয়া হয়েছিল। তার আগে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ক্যাবলটি উদ্বোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এছাড়া একাধিক সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেও কাজ শেষ করতে না পারায় এটি উদ্বোধন করা যাচ্ছিল না।রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানি বিটিসিএল সঞ্চালন লাইনের কাজ ঠিকমতো শেষ করতে না পারায় এতদিনের এই বিলম্ব।
গত ২৭ মার্চ ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটির সভার আলোচনায় বলা হয়, দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন কেনো এত বিলম্ব হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে বিটিসিএল প্রতিনিধি তখন বলেছিলেন, এপ্রিলের মধ্যেই তারা ঢাকায় সংযোগ দিতে পারবেন।
এদিকে সাবমেরিন কেবল কর্তৃপক্ষ বলছে, গত বেশ কিছুদিন থেকেই এই কেবলের প্রায় ৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ তারা পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করছিলেন। এখন তা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার হবে।নতুন এই কেবলের মাধ্যমে দেশ বাড়তি এক হাজার ৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ বেশী পাবে বলা হলেও এখন মাত্র ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ দেশের মধ্যে আনার স্বক্ষমতা আছে দেশের অভ্যন্তরের লিংকগুলোর। ফলে পুরো সেবা দেশের ভেতরে আসবে না।
কেবলেটির মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০ বছর। যা ২৫ বছর পর্যন্ত বাড়তে পারে।
২০০৫ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাবমেরিন ক্যাবল ‘সি-মি-ইউ-৪’ এ যুক্ত হয়, যার মাধ্যমে এখন প্রায় ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যাচ্ছে।