ইন্টারনেটনিরাপত্তাসর্বশেষ টেক নিউজ

অনলাইনে তথ্য ফাঁস!

২০১৭ সালের প্রথম ৬ মাসে পুরো বিশ্বে প্রায় ১.৯ বিলিয়ন অনলাইন ভিত্তিক তথ্য ফাঁস হয়েছে, চুরি হয়েছে কিংবা হারিয়ে গেছে। পুরো ২০১৬ সাল জুড়ে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ১.৩৮ বিলিয়ন। জানা গেছে ২০১৭ এর প্রথম ৬ মাসে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে প্রায় ৯১৮টি । এর মধ্যে ২২টি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। যার প্রতিটিতে ১ মিলিনেরও বেশি তথ্য জমা ছিল।

অ্যালেবামা এবং দক্ষিণ ডাকোটা ব্যতিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি শহর এবং গুয়াম, পুয়ের্তো রিকো ও ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে কিছু কোম্পানি ডাটা নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি (৭৮১টি) তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। যা ইউরোপ এবং এশিয়ার তুলনায় অনেক অনেক বেশি। ইউরোপ এবং এশিয়ায় এর সংখ্যা যথাক্রমে ৪৯টি ও ৪৭টি।

দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইউরোপীয় মহাদেশভুক্ত যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে ৪০টি। ইউরোপীয় অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে নেদারল্যান্ড এবং মাল্টাতে এর সংখ্যা ২টি এবং অস্ট্রিয়া, চেক রিপাবলিক, ইতালি, লিথুনিয়া ও নরওয়ে প্রত্যেকটিতে ১টি।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি (১৫টি) তথ্য ফাঁস হয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতে। তাছাড়া নিউজিল্যান্ডে এর সংখ্যা ৫টি, সিঙ্গাপুরে ৩টি, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ২টি এবং হংকং, জাপান, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান প্রত্যেকটিতে ১টি।

সিম কার্ড প্রস্তুতকারক ও নিরাপত্তা কোম্পানি “জেমাল্টো” এর ব্রিচ লেভেল ইন্ডেক্স রিপোর্ট অনুসারে, ওয়ানাক্রাই/ক্রিপ্ট হ্যাক বা ডিপ রুট লিকের মতো ঘটনাগুলোর পেছনে প্রধানত বিভিন্ন হ্যাকার দায়ী। তথ্য চুরির পেছনে এদের হাত আছে ৮% এর মত।

তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, এই বছর চুরি হওয়া তথ্যগুলোর মধ্যে মাত্র ১% এনক্রিপ্ট করা ছিল। তাই ডাটাগুলো চুরি হওয়ায় ক্ষতি হয়েছে বেশি। বিভিন্ন কোম্পানি ও সংস্থার উদ্যোগে এখন থেকে সকল তথ্যকে এনক্রিপ্ট করে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে কোন তথ্য যদি কেউ চুরিও করে তাহলে সে তা ব্যবহার করতে না পারে। প্রসঙ্গত, এনক্রিপ্ট করা মানে হল কোন তথ্যকে কোড বা সাইফারে রুপান্তর করা, যাতে যিনি কোডিং করেছেন তিনি ব্যতিত কেউ ওই তথ্য পড়তে না পারেন।

ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক তথ্যগুলো দুই ধাপের যাচাইকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে সংরক্ষণ করলে তাতে বহিরাগতদের প্রবেশের সুযোগ অনেকাংশে কমানো যায়। কারণ ২০১৭ সালে যে সকল তথ্য ফাঁসের ঘটনাগুলো ঘটেছে তার তিন চতুর্থাংশই ছিল কোন ব্যক্তির পরিচয় চুরি (আইডেন্টিটি থেফট) করে তার ব্যক্তিগত ফাইলে প্রবেশের মাধ্যমে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।