গুগলের নতুন ‘পিক্সেলবুক’
গত ৪ অক্টোবর সান-ফ্রান্সিসকোতে ‘গুগল পিক্সেল টু’ ইভেন্টে ‘গুগল’ কোম্পানি ‘পিক্সেলবুক’ নামে নতুন এক ক্রোমবুক বাজারে আনার ঘোষণা দেয়। আগামী ৩১শে অক্টোবর,২০১৭ তারিখে ক্রোমবুকটি বাজারে আসবে। এটি গুগল কোম্পানি কর্তৃক নির্মিত প্রথম ক্রোমওএস ডিভাইস। গুগল কোম্পানির ব্যবস্থাপক ম্যাট ভকুন বলেন,”আমরা একে একটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাবলেট ও একটি স্মার্টফোনের সমন্বয় হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করেছি।“
ফিচারঃ
১. অপারেটিং সিস্টেমঃ এতে ক্রোমওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়েছে।
২. স্ক্রিনঃ এতে ব্যবহার হয়েছে এইচডি রেজুলেশনের ১২.৩ ইঞ্চি টাচ স্ক্রিন। স্ক্রিনটি ৩ঃ২ অনুপাতে নির্মিত। স্ক্রিনটিকে ৩৬০ ডিগ্রী কোণে ঘুরানো যায়।
৩. স্পেসঃ গুগলের অন্যান্য ক্রোমবুকের তুলনায় পিক্সেলবুকে স্পেস অনেক বেশি। পিক্সেলবুকে ৩ ধরণের ফ্রি স্পেস-১২৮ জিবি, ২৫৬ জিবি এবং ৫১২ জিবি পাওয়া যাবে।
৪. প্রসেসরঃ এতে সপ্তম প্রজন্মের ২ ধরণের প্রসেসর-ইন্টেল কোর আইফাইভ এবং কোর আইসেভেন ব্যবহৃত হয়েছে।
৫. ডিজাইনঃ গুগলের এই ক্রোমবুক টি বাজারের অন্যান্য ক্রোমবুকের তুলনায় সবচেয়ে পাতলা। এটি অ্যালুমিনিয়াম নির্মিত। এর পুরুত্ব ১০.৩ মিলিমিটার এবং ওজন ১০১ কেজি।
এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল একের ভিতর চার ধরণের ডিজাইন। অর্থাৎ ট্যাব্লেত,স্ট্যান্ড, ট্যান্ট ও ল্যাপটপ আকারে একে ব্যবহার করা যাবে।
৬. হার্ডওয়্যারঃ এর ব্যাকলিট কী বোর্ডে হয়েছে সফট-টাচ কী এর ব্যবহার। যা অন্ধকারেও হালকা জ্বলজ্বল করবে। এর সাথে আরও আছে ‘পিক্সেলবুক পেন’। যা ২০০০মাত্রার চাপ, আঘাত সহ্য করতে পারে। ৬০ ডিগ্রী কোণ করেও এর মাধ্যমে লেখা যায় অর্থাৎ খুবই ফ্লেক্সিবল।
৭. সফটওয়্যারঃ পিক্সেলবুক প্রথম ক্রোমবুক যাতে ‘গুগল প্লে স্টোর’ এর সব এপ ব্যবহার করা যাবে।
তাছাড়া এটি একমাত্র ক্রোমবুক যাতে এই প্রথম ভয়েস কন্ট্রোলড ‘গুগল অ্যাসিস্টেন্ট’ এর ব্যবহার হয়েছে। এমনকি এর কীবোর্ডেও নিচের দিকে একটি ‘গুগল অ্যাসিস্টেন্ট’ কী আছে।
৮. ব্যাটারিঃ এর ব্যাটারি একবার চার্জে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত সার্ভিস দেয়।
মূল্যঃ
এই পিক্সেলবুকটির দাম শুরু হয়েছে বাংলাদেশি মূল্য প্রায় ৮২,০৯২ টাকা থেকে। প্রসেসরের ধরণ অনুযায়ী দাম ১,৩৯,৬৯৯ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ একটি ‘ম্যাকবুক’ কিংবা ‘মাইক্রোসফট সারফেস’ এর সমমূল্যের। এর সাথে আছে ‘পিক্সেলবুক পেন’ যার জন্য বাড়তি ৮১৯৯টাকা খরচ করতে হবে আপনাকে।