স্লো হচ্ছেনা আইফোনের পুরনো মডেল!
আইফোন ৮ চালু হওয়ার পর একটি বিষয় খুব আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল যে, ‘অ্যাপল’ কোম্পানি নতুন আইফোন সেট বের হলে আইফোনের পুরনো মডেলগুলো স্লো করে দেয়। যাতে করে নতুন মডেলের বাজার বৃদ্ধি পায়। যদিও তখন এই ব্যাপারে কোন সত্যতা জানা যায়নি। সম্প্রতি বেঞ্চমার্কিং কোম্পানি ‘ফিউচারমার্ক’ এ বিষয়ে গবেষণা লব্ধ তথ্য প্রকাশ করেছে।
২০১৬ এর শুরুর দিকে ‘ফিউচারমার্ক’ ৭টি ভিন্ন আইফোন মডেল (আইফোন ৫এস-আইফোন ৭) নিয়ে গবেষণা শুরু করে। যাদের মধ্যে ৩টি আলাদা ভার্সনের আইওএস (আইওএস ৯, আইওএস ১০ এবং আইওএস ১১) ব্যবহৃত হয়েছে। ‘ফিউচারমার্ক’ ১ লক্ষের বেশি বেঞ্চমার্ক ফলাফল সংগ্রহ করে। তারা বেঞ্চমার্কিং এপ ‘থ্রিডিমার্ক’ এর মাধ্যমে ‘আইওএস ৯’, ‘আইওএস ১০’ এবং ‘আইওএস ১১’ এর পারফরম্যান্সের একটি তুলনামূলক চার্ট তৈরি করে। ‘থ্রিডিমার্ক’ এর মাধ্যমে ২ ধরণের পরীক্ষা করা হয়-জিপিইউ এবং সিপিইউ পারফরম্যান্স। ‘জিপিইউ’ এর মাধ্যমে গ্রাফিক্স এবং ‘সিপিইউ’ এর মাধ্যমে প্রসেসর ক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়। তাদের এ পরীক্ষাটি ‘স্লিং শট এক্সট্রিম’ নামে পরিচিত। ‘অ্যাপল’ যদি পুরনো মডেল স্লো করে দিত তাহলে এই ৩ ধরণের অপারেটিং সিস্টেম সম্পন্ন ফোনের ‘থ্রিডিমার্ক’ ফলাফলও ভিন্ন ভিন্ন আসতো।
কিন্তু দেখা যায় যে, আইফোনের নতুন মডেল বের হলেও পুরনো মডেলের অপারেটিং সিস্টেমের পারফরম্যান্সে কোন পরিবর্তন আসেনা। এমনকি পুরনো মডেলের পারফরম্যান্স লেভেল আর নতুন মডেলের পারফরম্যান্স লেভেল প্রায় সমান থাকে। আইফোন নতুন মডেলে নতুন আপডেট যোগ করলেও এদের পারফরম্যান্সে তেমন উল্লেখযোগ্য কন পার্থক্য আসেনা। নিচের চার্টে তা দেখানো হলঃ
এখানে আইফোনগুলোর জিপিইউ পারফরম্যান্সে তেমন কোন পার্থক্য দেখা যাচ্ছেনা। সিপিইউ পারফরম্যান্স কিছুটা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা যায় নতুন মডেলে নতুন আপডেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার; যদিও এই পরিবর্তন খুবই সামান্য।
তাই ‘আইফোনের নতুন মডেল বের হলে পুরনো মডেলগুলো স্লো হয়ে যায়’-এ কথাটির মোটেও কোন যুক্তি নেই। তবে অনেকের কাছে এটি মনে হওয়ার কারণ হতে পারে- (১) আইফোন নতুন মডেলে অনেক আপডেটেড সফটওয়্যার, এপস এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে যা অনেক সময় পুরনো মডেলে ব্যবহার করা যায়না; কিংবা (২) নতুন মডেলের ব্যাটারি পুরনো মডেলের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী হয় প্রভৃতি।
বেঞ্চমার্ক এর তথ্যগুলোর সোর্স কি থ্রিডিমার্ক?
‘থ্রিডিমার্ক’ হল একটি সফটওয়্যার। এটি যেকোনো ডিভাইস এর গ্রাফিক্স কোয়ালিটি টেস্ট করতে কিংবা বিভিন্ন কাস্টমাইজ সেটিংসে ডিভাইসটির প্রসেসর আগের মতো কাজ করছে কিনা তা জানতে ব্যবহার করা হয়।