বায়োমেট্রিক নিবন্ধন তথ্য চুরি
মুঠোফোন ব্যবহার করে অপরাধ কমাতে বিগত বছর দেশের সব গ্রাহকের মুঠোফোন নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়, বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে। কিন্তু এরপরও মুঠোফোন ব্যবহার করে অপরাধীদের শনাক্ত করতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন কোম্পানি টেলিটকের কেন্দ্রীয় তথ্যভান্ডার (সার্ভার) থেকে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের তথ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, তথ্য চুরির অভিযোগে রংপুর ও ঢাকা থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
সিআইডি এর পক্ষ থেকে জানা যায়,
টেলিটকের নিবন্ধিত গ্রাহকের নাম-পরিচয়, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য থেকে শুরু করে আঙুলের ছাপ অর্থাৎ বায়োমেট্রিক তথ্য পর্যন্ত সার্ভার থেকে চুরি করেছে চক্রটি। এরপর সেই তথ্যগুলো দিয়ে সিম নিবন্ধন করে মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, রকেট ইত্যাদি) অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বাজারে বিক্রি করা হতো। অর্থাৎ নিবন্ধিত একজন গ্রাহকের অগোচরে তাঁর পরিচয়-আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে আরও সিম কার্ড বাজারে ছাড়া হচ্ছিল। আর ওই সব সিম কার্ড দিয়ে যেকোনো অপরাধ হলে দায়টা চাপবে গ্রাহকের ঘাড়েই।
তবে সবছেয়ে অবাক বিষয় হলো, তথ্যভান্ডার থেকে গ্রাহকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি হয়ে গেলেও বিষয়টি জানেনই না টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক “কাজী গোলাম কুদ্দুস”। তিনি বলেন,
‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অফিশিয়ালি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অপরাধীরা মূলত এসব সিম কার্ড কিনে নানা ধরনের প্রতারণা, হুমকি ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ করে থাকে। কিন্তু ওই সব সিম কার্ড ব্যবহার করে কোনো অপরাধ হলে যাঁর নামে সিমটি নিবন্ধিত তাঁকেই আগে খুঁজবে পুলিশ।