ফেসবুক’র বিরুদ্ধে সাবেক প্রেসিডেন্ট এর অভিযোগ
ফেসবুকের প্রথম ও সাবেক প্রেসিডেন্ট শন পার্কার সম্প্রতি ফেসবুকের কার্যক্রম বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের দুর্বলতাকে কাজে লাগানোর অভিযোগ তুলেছেন।
পার্কারের মতে,
ফেসবুক আমাদের শিশুদের মস্তিষ্কে কী ঘটাচ্ছে, তা একমাত্র ঈশ্বরই জানেন। পার্কার ছাড়াও ফেসবুক চালু ও উন্নয়নের সাথে যারা যুক্ত ছিলেন, এমন প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের অনেকে এরই মধ্যে সাইটটির বর্তমান কার্যক্রম ও মানুষের জীবনে এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
২০০৪ সালে ফেসবুকের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। একই বছর সাইটটিতে বিনিয়োগ করেন শন পার্কার। তিনি ফেসবুককে বৈশ্বিক প্লাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলতে মার্ক জাকারবার্গকে সহায়তা করেন। সে সময় ফেসবুকের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পার্কার। যদিও এর পরের বছরই তিনি ফেসবুক ছেড়ে দেন।
পার্কার বলেন,
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপ্লিকেশন তৈরির প্রাথমিক চিন্তা ছিল মানুষের সময় ও মনোযোগ যতটা সম্ভব দখল করা। কারণ এ ধরনের সাইটগুলোয় পোস্ট করা ছবি, স্ট্যাটাস বা বিভিন্ন তথ্যে অন্যরা লাইক বা মন্তব্য করার সুযোগ পায়। সাইটগুলোর এ ধরনের সুযোগ-সুবিধার ফলে কনটেন্ট বাড়ে। একই সাথে লাইক ও মন্তব্য বাড়তে থাকে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে ফেসবুক প্রথম মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপ্লিকেশন হ্যাকিংয়ের মতো তথ্য প্রকাশের বৈধ মাধ্যম। মানুষের মনস্তাত্ত্বিক দুর্বলতাকে কাজে লাগানোর উত্তম মাধ্যম হলো ফেসবুক। কবে বাকি সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপ্লিকেশনগুলোর কার্যক্রমও অনেকটা একই।
সাইবার অপরাধীরা প্রযুক্তির সহায়তায় কারো তথ্য হাতিয়ে নেয় আর ফেসবুকের মতো সাইটগুলোয় মানুষ স্ব-ইচ্ছায় ব্যক্তিগত ও অন্যের তথ্য প্রকাশ করছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় দখলে নিয়েছে ফেসবুক। বলতে গেলে বিপুল মানুষ এখন তাদের অবসর সময়ের পুরোটাই এ মাধ্যমে ব্যয় করছে ফেসবুকে।
তথ্য সূত্রঃ- “দিগন্ত ডেস্ক”