তদন্তের মুখে উবার
গত কিছু দিন পূর্বে উবার স্বীকার করে, ২০১৬ সালে তাদের সার্ভার হ্যাক করে ৫ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি গ্রাহক ও চালকের তথ্য চুরি করে হ্যাকাররা। ১ লাখ ডলারের বিনিময়ে তথ্যগুলো মুছে ফেলা হয়। উবার তখন বিষয়টি তাদের অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জানায়নি।
সম্প্রতি তথ্য চুরি ধামাচাপা দিতে গিয়ে এবার ভালোই ঝামেলায় ফাঁসতে যাচ্ছে উবার। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইনসহ আরও বেশ কিছু দেশের সরকার।
গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা সুরক্ষিত করার ব্যাপারে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশেই কড়া আইন রয়েছে। আবার উবার ব্যবহারকারীর সংখ্যা এ দুই দেশেই সবচেয়ে বেশি। পরশু উবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়ার পর এখন বিশ্বের অনেক দেশ নড়েচড়ে বসেছে। উবার কী কী আইনের লঙ্ঘন করল, তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন আইন প্রণেতা বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসে শুনানির আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছেন। ফেডারেল ট্রেড কমিশনকেও তাঁরা এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করেছেন। আর যুক্তরাজ্যে গ্রাহকদের গোপন তথ্য সুরক্ষিত করতে ব্যর্থ হলে ৫ লাখ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।
গ্রাহকদের চুরি যাওয়া তথ্যের মধ্যে আছে নাম, ই-মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর, লাইসেন্স নম্বর। জানা যায়, এরই মধ্যে উবার তাদের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জো সুলিভান ও তাঁর ডেপুটি ক্রেগ ক্লার্ককে ছাঁটাই করেছে।
তথ্য সূত্রঃ- “Theguardian”