ড্রোন উড়ানোর নিয়ম (বাংলাদেশে)
আইন অনুযায়ি বাংলাদেশের আকাশে ড্রোন ওড়ানোর ৪৫ দিন পূর্বে বেসামরিক বিমান ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। উক্ত অনুমতি চাওয়া হলে বেসামরিক বিমান ও পরিবহন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে একটি ড্রোন ওড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট রুট এবং সীমানা নির্ধারণ করে অনুমতি প্রদান করে। এরপরই কেবল বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ড্রোন ওড়ানো বৈধ। কিন্তু এই ক্ষেত্রেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর জায়গায় কখনোই ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি প্রদান করা হয় না।
উল্লেখ্য, ড্রোন ওড়াতে অনুমোদন নিতে নীতিমালা বলছে, ৬টি সংস্থার অনাপত্তিপত্র পাওয়ার পর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দিবে। সংস্থাগুলো হলো– আকাশ প্রতিরক্ষা পরিচালন কেন্দ্র, সামরিক গোয়েন্দা মহাপরিদফতর, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা, বিমান গোয়েন্দা পরিদফতর, পুলিশ সদর দফতর ও বর্ডার গার্ড সদর দফতর।
কেউ কেউ শুটিং এর জন্য ড্রোন ব্যবহার করে যাচ্ছে । আপনি জানেন কি? আপনি যদি তৎক্ষণাৎ পুলিশকে জানিয়ে দেন পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের অনুমতি পত্র আছে কিনা পরিক্ষা করবে । যদি না থাকে তাহলে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের দায়ে তার সাজা হয়ে যাবে । ১৪ বছর জেল কিংবা ২০ লাখ টাকা জরিমানা কিংবা উভয় সাজা হয়ে যাবে ।
এছাড়া একজন সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব পালন করার জন্য ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে ম্যাজিস্ত্রেট দ্বারা আপনাকে ৫০০০.০০ ( পাঁচ হাজার টাকা) পুরষ্কার দেয়া হবে । যা সম্পূর্ণ ট্যাক্সমুক্ত । এখান থেকে পুলিশ কিংবা অন্য কেউ একটা পয়সা ছুঁতে পারবে না । কিংবা আপনি চাইলে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও পাঠিয়ে দেয়া হয় ।
বাংলাদেশে অনেক আইন রয়েছে আমরা জানি কিন্তু ঝামেলা মনে করে অসচেতনের মত আমরা ভাল কিছু এড়িয়ে যাই সর্বদা ।
আরেকটা তথ্য দিচ্ছি, সরকারি ট্যাক্সের বিল হয় নীল কিংবা সবুজ রঙের । দোকানে কিছু কিনতে গেলে যদি ট্যাক্সের জন্য টাকা কেটে রাখছে বলে দেয় তাহলে বিল নিবেন । যদি উক্ত রঙের বিল না দেয় তাহলে তাকে পাকড়াও করুন এবং ট্যাক্সের টাকা না দেয়ার কথা বলুন । নয়ত আশেপাশে পুলিশ থাকলে তাকে জানিয়ে দেন । আমার নিজের সাথে একটা ঘটনা বলি, পুলিশ প্রথমে বলে দিল, শুধু শুধু ঝামেলা না করলেই হয় । আমি বললাম যে, নাগরিক হিসেবে আমার অধিকার রয়েছে এর প্রতিবাদ করা । আপনি যদি না দেখেন তাহলে আমি অন্য দিকে যাবো । তারপর নিজেই বললাম আপনি নাস্তার টাকা রেখে আমাকে সাহায্য করুন । মাত্র ২০০- ৫০০ টাকা হলেই পুলিশেরা এই সাহায্য করে দেয় । সেদিন বিকাল ৬ টা নাগাদ ফার্মগেটের ফার্মভিউ সুপার মার্কেটে আমার ছোটমামার সাথে তেজগাঁও থানা থেকে পরিদর্শক এসে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে দিল এবং আমার মামাকে ম্যাজিস্তেট সাইন নিয়ে ৫০০০টাকা নগদ দেয় । মামা সেখান থেকে পুরো ১০০০ টাকা ট্র্যাফিক সার্জেন্টের হাতে ধরিয়ে দেয় । যদিও তিনি বলে দেন মাত্র ২০০-৫০০ হলেই তারা সাহায্য করেন । যদিও এটার বৈধতা নেই কিন্তু এটা অদৃশ্য নিয়ম । সে আপনাকে সাহায্য না করলে আপনি সেবা পাবেন না । শুধু জেনে রাখুন বাংলাদেশে সকল নিয়ম রয়েছে শুধু আপনাকে ব্যবহার করা জানতে হবে ।
আরেকটা কথা এই ৫০০০টাকা দেয়া হয় ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে । কেননা, আপনার সেবা করার জন্য এরা প্রস্তুত । শুধু আমরা লাইন জানি না তাই ভাবি এই দেশ দিয়ে কিচ্ছু হবে না । যারা এই লেখা পড়বেন তাদের কাছে অনুরধ থাকবে আমাদের সংবিধান পড়ুন । মাথা খারাপ হয়ে যাবে যখন জানবেন আপনি সিভিল নাগরিক হয়েও কত কত সুবিধা থেকে নিয়মিত বঞ্চিত হচ্ছেন শুধু না জানার কারনে । কেউ আপনাকে সুবিধা দিবে না । আপনি যখন সুবিধা নিতে জানবেন তখন প্রধানমন্ত্রিও আপনাকে কথা বলার জন্য সুযোগ করে দিবেন । ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ তথ্য টা দেয়ার জন্য