উইন্ডোজ ১০ এ কর্টানা নিষ্ক্রিয় করার উপায়!
উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে অনেক ডিফল্ট সফটওয়্যার রয়েছে যার কিছু দরকারী বাকীগুলো খুবই বিরক্তকর। তবে সবচেয়ে বেশি বিরক্তকর সম্ভবত মাইক্রোসফট’র ডিজিটাল ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট কর্টানা, যা কিনা অতিরিক্ত র্যাম ব্যবহার করে।
আজকে জানবো কিভাবে কর্টানার বিরক্তির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়?
এটি ডিজেবল করার আগে জেনে নিন কেন আপনি কর্টানা ডিজেবল করবেন? এটি ডিজেবল করার সবচয়ে বড় কারণ হতে পারে অতিরিক্ত ডিস্ক এবং র্যাম ব্যবহার করা। আর সাথে ফ্রিতে বিরক্তি তো আছেই। এখন যদি আপনার মনে হয় এটি ডিজেবল করতে হবে তাহলে নিচে উল্লেখিত উপায়টি অনুসরণ করুণ।
উইন্ডোজ সেটিং ব্যবহার করে কর্টানা ডিজেবলঃ
কর্টানা উইন্ডোজ ১০ এ আপানার করা সকল কাজ, তথ্য, ইমেইল, সার্চ, ইন্টারনেট হিস্টোরি ছাড়াও আরো অনেক কিছুর উপর নজর রেখে থাকে। সেই অনুযায়ী অনেক কিছু করে থাকে।
প্রথমে আপানাকে এক্টিভিটি মনিটরিং সার্ভিসটি ডিজেবল করতে হবে। এর জন্য আপনাকে প্রথমে উইন্ডোজ ১০ সেটিং থেকে Choose Cortana > Choose “Permissions and History” tab এ যেতে হবে।
এরপর “Manage the information Cortana can access from the device” > এরপর সবগুলো On থেকে Off” করে দিন।
এরপর আপনাকে “Manage the information Cortana knows about me in the cloud” > Cortana will open the “Personal Information” tab in the Windows search > এরপর নিচের দিকে যান এবং “Clear” এ ক্লিক করুণ।
এরপর ক্লিক করুণ সাইন ইন আইডিতে এবং এটি সাইন আউট করে দিন।
এখন হিস্টোরি থেকে “View Activity History” অফ করে দিন।
অভিনন্দন আপনি সফলভাবে আপনার উইন্ডোজ ১০ পিসি থেকে কর্টানা ডিজেবল করে ফেলেছেন। ওহ! তবে আরেকটা কাজ বাকি আছে তা হলো আপনার পিসি থেকে কর্টানার চিহ্ন পুরোপুরি মুছে ফেলা। এর জন্য টাস্কবারে মাউস দিয়ে রাইট ক্লিক করতে হবে > এরপর কর্টানাতে ক্লিক করুণ > হিডেনে সিলেক্ট করুণ।
সকল কাজ শেষ। আশা করি উপরের দেখানো নিয়মে আপনি কর্টানা ডিজেবল করতে পেরেছেন। এটিই আমার কাছে সব থেকে সহজ উপায় লেগেছে তাই আপনাদের সাথেও শেয়ার করলাম। আরো কয়েকটি উপায় রয়েছে তা যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ব্লগে মন্তব্য করে জানাতে পারেন।
ধন্যবাদ।