প্রযুক্তি-বাজারঅ্যান্ড্রয়েডপ্রতিবেদনমোবাইল-ম্যানিয়া

৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা কতটা কাজের?

৬৪ মেগাপিক্সেল ফোন ক্যামেরা ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। বিগত সপ্তাহগুলোতে মুক্তি পাওয়া হ্যান্ডসেটগুলোতে যেমন রিয়েলমি এক্সটি, শাওমি রেডমি নোট ৮ প্রো এবং ভিভো নেক্স ৩। যার সবগুলোতেই রয়েছে স্যামসাং এর ৬৪-মেগাপিক্সেল “GW1” সেন্সর। এবং আশা করা যায়, ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাও শীঘ্রই বাজারে ছড়াবে ঠিক যেমনটা ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ছড়িয়েছিল বছরের শুরুতে।

রিয়েলমি এক্সটি (৬৪ মেগাপিক্সেল) এর কিছু স্যাম্পল ফটো এর সাথে রিয়েলমি ৫ প্রো (৪৮ মেগাপিক্সেল) এর ফটোর বিস্তারিত খুটিনাটি পার্থক্য তুলে ধরবো।

৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ডিফল্ট অবস্থায় ১২ মেগাপিক্সেল এর ছবি তুলে থাকে যেখানে ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ডিজাইন করা হয়েছে ১৬ মেগাপিক্সেল এর ছবি তুলার জন্য।

অবশ্য প্রো মোডে পিক্সেল বাইন্ডিং এর সাহায্যে যথাক্রমে ৪৮ এবং ৬৪ মেগাপিক্সেল এর ছবি তোলা যায়। আগেই বিষয়টি পরিষ্কার করে রাখি যে, দুটো ফোন এর একটিও ফ্ল্যাগশিপ ফোন নয় তাই আশ্চর্যজনক কোয়ালিটির ছবি আশা করা উচিত হবে না।

৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা কতটা কাজের? 2

উপরের ছবিটি উভয় ফোনেই ৪৮ ও ৬৪ মেগাপিক্সেলে তোলা হয়েছে এবং নিচে ছবিটি জুম করে তুলনা করা হলো।

বাম পাশে রিয়েলমি ৫ প্রো এর ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ছবি ও ডান পাশে রিয়েলমি এক্সটির ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ছবি।

 

৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা কতটা কাজের? 3

দেখা যাচ্ছে ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ছবিতে উঠে এসেছে বেশি ডিটেইল এবং সঠিক রঙ

 

৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা কতটা কাজের? 4

রাতের বেলা সল্প আলোতে তোলা ছবিতে জুম করার পর দেখা যাচ্ছে ৬৪ মেগাপিক্সেল এর ছবিটিতে বরাবরের মতো বেশি ডিটেইল এবং কালার একুরেসি তুলে ধরতে সক্ষম।

অবশ্য ৪৮ মেগাপিক্সেল এর ক্যামেরা টি ছবিটিকে অনেকটা স্মুথ করে দিয়েছে যার কারণে বিল্ডিং টির উপরে “UCHIDA” লেখাটি ঠিক পড়া যাচ্ছে না কিন্তু এক্সটির ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায় খুব ভালো মতই এটি পড়া যাচ্ছে।

 

৪৮ মেগাপিক্সেল এর নাইট স্কেপ

৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা কতটা কাজের? 5

৭২ মেগাপিক্সেল এর নাইটস্কেপ

৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা কতটা কাজের? 6

এখানে অবশ্য রিয়েলমি ৫ প্রো এর ছবি তুলনামূলক ভাবে শার্প।

ছবিগুলো থেকে বলা যায়, ৬৪ মেগাপিক্সেল সামগ্রিকভাবে ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু এটা আহামরি কোনো উন্নতি না। কারণ আমরা দেখে আসছি, আইফোন ১১ এবং গুগল পিক্সেল ৩ মাত্র ১২ মেগাপিক্সেল এর সেন্সর নিয়ে ফোন ক্যামেরার শীর্ষে অবস্থান করছে।

তাই বলা যায়, মেগাপিক্সেল বা সেন্সর এর আকার কেই একমাত্র দিক বিবেচনা করাটা অর্থহীন হবে। একটা ছবির পেছনে “ইমেজ প্রোসেসিং” অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।

 

উপসংহার টানলে, আমি ক্যামেরা গুলোর কোয়ালিটি নিয়ে যথেষ্ট সন্তুষ্ট। ফোন গুলোর দাম বিবেচনা করলে এমন ক্যামেরা ২ বছর আগেও ছিল অকল্পনীয়।

অবশ্য গুগল ও এপল কে এ বিষয় নিয়ে এখনই মাথা ঘামাবার কোনো কারণ নেই। তবে বাজারের এর উন্নতি খুব দ্রুতই ঘটছে।

এই ৬৪ মেগাপিক্সেল বাজারে কিভাবে প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে আপনি কি কৌতূহলী?

জানান কমেন্ট বক্সে!

Sabbir Hasan

প্রযুক্তি নিয়ে অত্যন্ত কৌতূহলী। জানতে এবং জানাতে ভালো লাগে, তাই মাঝে মাঝে টুকিটাকি এই অনভিজ্ঞ হাতের লেখালিখি। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার এবং ফ্রন্ট-এন্ড ওয়েব ডেভেলপার।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।