৫জি ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায়
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা ২০২০’ তে ১ম বারের মতো ৫জি ব্যবহারের(ফাইভজি ডেমোনেস্ট্রেশন) সুযোগ দিচ্ছে হুয়াওয়ে। আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সুযোগ মিলবে।
তিন দিনব্যাপি আয়োজিত এই মেলা ১৬ই জানুয়ারি থেকে শুরু হবে, শেষ হবে ১৮ই জানুয়ারি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার আশা প্রকাশ করলেও বাস্তবে তা কবে চালু হয় সেটা সময়ই বলে দিবে।
২০২৩ নাগাদ সারাবিশ্বে ১০০কোটি ৫জি ইউজার পটেনশিয়ালিটি রয়েছে যার মধ্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট এর পাশাপাশি ড্রোন, চালকহীন গাড়ি সহ ইন্টারনেট অব থিংস সমেত নানান শিল্পক্ষেত্র, এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্কিং ও ব্যাক্তিগত কাজে প্রযুক্তি এগিয়ে নিবে।
৫জি কি?
মোবাইল নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশন এ ৫ম জেনারেশন প্রযুক্তিতে সর্বোচ্চ ২০ গিগাবিট/সেকেন্ড (জিবিপিএস) পর্যন্ত গতি, এবং গড় গতি ৩.৫ গিগাবিট/সেকেন্ড স্বল্প ব্যটারী কনজামশান থাকবে। ৪জি’র তুলনায় ১০-১০০ গুন পর্যন্ত বেশি পাওয়া যাবে। ৫জি’র রেস্পন্স খুব দ্রুত হয় যা যেকোন স্পীডি কমিউনিকেশনে যথোপযুক্ত। তবে রেডিও স্পেকট্রাম ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের কারনে অসুবিধা হবে দেয়াল ভেদ করতে না পারা, বৈরী আবহাওয়াতে কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া।
১ম ৫জি ফোনঃ
ZTE অ্যাক্সন ১০ প্রো ৫জি, ১ম ৫জি স্মার্টফোন, যা ২৫শে ফেব্রুয়ারি মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস এ প্রদর্শিত হয়েছে.
৫জি স্মার্টফোন গুলো (এ পর্যন্ত)
- Samsung Galaxy S10 5G,
- OnePlus 7 Pro 5G,
- Xiaomi Mi Mix 3 5G,
- LG V50 ThinQ 5G.
- Huawei Mate 20 X 5G,
- Oppo Reno 5G,
৫জি নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশন’র সুবিধাঃ
- সর্বনিম্ন ১০০ এম বি পি এস স্পীড
- ৫জি’র জন্য নতুন প্রযুক্তিপন্যের ব্যবহার বৃদ্ধি
- একই সাথে
৫জি নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনের অসুবিধাঃ
- রেডিয়েশন(ইলেকট্রনিক) বৃদ্ধি
- পরিবেশের বিভিন্ন জীব জন্তুর আয়ুষ্কাল কমে যাওয়া
কবে চালু হবে ৫জি নেটওয়ার্ক?
২০১৯ এ ১ম ৫জি ব্যবহার এরপর বৈশ্বিক বিভিন্ন বিতর্ক হলেও দেশে ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত লাগতে পারে ৫জি বাস্তবায়নে।