প্রতিবেদন

৫জি এখন বাংলাদেশে?

৫জি এখন বাংলাদেশে, কথাটি বিশ্বাস হচ্ছেনা! পরীক্ষাকারী বিশ্বের ১ম কয়েকটি দেশের মধ্যে ১টি আমার দেশ। এরপর অনেক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হলেও নীতিমালার খসড়া প্রণয়নের কাজ এখনও আটকে আছে। এ কারনে ঠিক কোন ব্যান্ডে ফাইভজি চালু করা হবে কিংবা স্পেকট্রামের মুল্য কী হবে-এমন গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত আটকে আছে

২০১৮ সালের জুলাইতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশ ফাইভ জি সামিটে ওই পরীক্ষার উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

এরপর গত বছর আগস্টে বিটিআরসি দেশে ফাইভজি চালুর জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করতে একটি কমিটি গঠন করে।চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে নীতিমালার একটি খসড়া কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল।

খসড়ায় দেশে ফাইভজি চালুর রূপরেখা,স্পেকট্রাম ব্যান্ড ও দাম , টাইম লাইনসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব অন্তর্ভূক্ত থাকার কথা রয়েছে।

নীতিমালার খসড়া প্রণয়নের  জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশনের (বিটিআরসি) গঠন করা কমিটিকে চার মাস সময় দেওয়া হয়।তবে নির্ধারিত সময়ে তারা কাজ শেষ করতে পারেননি।

বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার হাসান মোহাম্মদ আমিনুলকে আহবায়ক করে গঠন করা কমিটি সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রথম বৈঠক করে।তবে নির্ধারিত সময়ে তারা কাজ শেষ করতে পারেননি।

নীতিমালার প্রণয়ন করতে বিভিন্ন সময়ে মূল কমিটি খসড়া তৈরি করতে আরও আটটি উপ-কমিটি গঠন করে।এসব কমিটির কাছ থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন আসেনি।

মূলত এ কারণেই আটকে আছে খসড়া চূড়ান্ত করার কাজ।এতে নীতিমালার গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় যেমন ব্যান্ড ও স্পেকট্রামের মূল্য নির্ধারণের মতো সিদ্ধান্ত আটকে আছে।

উপ-কমিটিগুলোতে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে ওই দিন মূল কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করার কথা ছিল।এরপর চার মাস হয়ে গেলেও ওইসব প্রতিবেদন আসেনি।

এ কারণেই ঝুলে রয়েছে ফাইভ জি নীতিমালা তৈরির মূল কমিটির কাজ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

ইতিমধ্যে অবশ্য ফাইভজি বিষয়ে বড় দুটি প্রযুক্তি সরবরাহকারী কোম্পানি হুয়াওয়ে ও এরিকসনের কাছ থেকে তাদের প্রেজেন্টেশন নিয়েছে কমিটি।

জানা গেছে , বর্তমানে ২ ৬ গিগাহার্জ, ৩ ৫ গিগাহার্জ ইত্যাদি ব্যান্ডগুলো ফাইভজি সার্ভিসের জন্য জনপ্রিয় ব্যান্ড হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সে জন্য বিটিআরসি’র কমিটি এই দুটি ব্যান্ডে ফাইভ জি চালুর বিষয়ে আলোচনা করছেন।

তবে আইটিইউ হতে ২৫০০-২৬৯০ মেগাহার্জ, ৩৩০০-৪২০০ মেগাহার্জ,২৬-২৮ গিগাহার্জ,৩২ গিগাহার্জ, ৩৮ গিগাহার্জ, ৪০ গিগাহার্জ এবং ৪৩ গিগাহার্জ বান্ডসমূহে ফাইভজি প্রযুক্তির জন্য তরঙ্গ বরাদ্দ প্রদানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানায় নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।

সরকার ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে ফাইভজি চালু করার ঘোষনা দিয়েছে।এ জন্য সব রকম প্রস্তুতিতে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা তৈরি, কৌশলগত পরিকল্পনায়  দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ে  জোর দেয়া হচ্ছে।

পরিকল্পনা অনুসারে, প্রথম দফায় ২০২১ সালের শুরুতে ঢাকায় ফাইভজি চালু করে ওই বছরেই সব বিভাগীয় শহরগুলোতে সেবা সম্প্রসারণ করতে চায় সরকার।

এরপর ২০২৩ সালের মধ্যে সব উপজেলা, গ্রোথ সেন্টার বা বড় হাটবাজার, বিশ্বরোড ও রেলে ৫জি সেবা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।