সেরা ফ্রিল্যান্সার পুরষ্কার ১৮ই এপ্রিল
দেশ সেরা ফ্রিল্যান্সার পুরষ্কার হাতে উঠছে আগামী ১৮ই এপ্রিল। যেখানে বেসিস পুরস্কৃত করবে আউটসোর্সিং এর বিভিন্ন খাতে অবদান রাখা ব্যাক্তিদের।
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০ উপলক্ষ্যে পুরো মার্চ মাস ব্যাপী চলবে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের কার্যক্রম। ২৯ ফেব্রুয়ারি রোজ শনিবার বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ডের জন্য নিবন্ধন চলবে। এরপর শুরু হবে যাচাই বাছাই এর কার্যক্রম। যাচাই বাছাই শেষে কোম্পানি বিভাগে ৩টি, ব্যক্তি বিভাগে ২টি সহ মোট ৫টি বিভাগে ১০০টি পুরস্কার দেওয়া হবে, জানিয়েছেন বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ডের আহবায়ক, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান।
এবারে অ্যাওয়ার্ডে নতুন একটি ক্যাটাগরিতে যোগ করা হয়েছে। সেটি হল ‘এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’। সরকার ঘোষিত ১০ শতাংশ রপ্তানি ভর্তুকির জন্য যারা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবেদন করেছেন তাদের মধ্য থেকে একটি প্রতিষ্ঠানকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইন আউটসোর্সিংয়ে নারীদের উৎসাহিত করতে পৃথক নারী বিভাগেও তিনটি পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বেসিস এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো সরকারের ২০২৪ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গুলোকে উৎসাহিত করা। পাশাপাশি আমরা মনে করি যারা এখন ব্যক্তি-পর্যায়ে আউটসোর্সিং কাজে নিয়োজিত তারা যেন নিকট ভবিষ্যতে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে কোম্পানি গঠন করে বেসিসের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিতে পারে। তাছাড়া সরকার তখন রপ্তানি আয়ের উপর ১০% নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে যা কোম্পানিগুলোই কেবল নিতে পারবে’।
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ডের আহ্বায়ক, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন,
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড বেসিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। নানা কারণে গত তিন বছর আমরা এটি আয়োজন করতে পারিনি। আশা করছি এখন থেকে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ডের বার্ষিক কার্যক্রম নিয়মিত ভাবে করা হবে।
উল্লেক্ষ্য, ফ্রিল্যান্সারদের উৎসাহিত এবং তরুণদের আউটসোর্সিংয়ে আগ্রহী করার জন্য ২০১১ সাল থেকে বেসিস এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।
ব্যাংক এশিয়া ও পেওনিয়ারের সহযোগিতায় বেসিসের উদ্যোগে অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন,
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড স্পন্সর হিসেবে ব্যাংক এশিয়া বিগত সময়েও বেসিসের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করেছে। সামনের দিনগুলোতেও করবে। তিনি বলেন, কেবলমাত্র ২০১৯ সালের অনলাইন আউটসোর্সিং থেকে ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যাংকে জমা হয়েছে।
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০ সম্পর্কে জানতে ও রেজিষ্ট্রেশন করতে http://outsourcingaward.basis.org.bd/
nicee