ড্রপশিপিং কি? কেন? কিভাবে?
ড্রপশিপিং নামটা কি আমরা শুনেছি? শুনে থাকলে একটা hi5 হয়ে যাক। আর না শুনে থাকলে ২ টা মিনিট সময় দিন, রাসেল এ কাউসারকে।
আপনারা যারা এখন ও স্টুডেন্ট আছেন এবং ভাবছেন নিজের কিছু একটা করা দরকার কিন্তু টাকা নাই করতে পারছি না তাদের জন্য #Drop_Shipping একটা চমৎকার আইডিয়া।
কি এই #Drop_Shipping? ধরুন Greaper হল একটা venture , যারা কাস্টমাইজড মোবাইল ব্যাক কাভার তৈরি করে। ধরে নিন Greaper এর একটা প্রোডাক্ট এর দাম ৫০০ টাকা এবং তাদের এই প্রোডাক্ট তৈরি করতে খরচ পরে ৪৫০ টাকা। যদি তারা মাসে ১০০ প্রোডাক্ট সেল করে তবে Greaper এর প্রফিট মারজিন দাঁড়ায় ১০০x৫০=৫০০০ টাকা।
এবার ধরে নিলাম Greaper এর owner আপনারই ডিপার্টমেন্ট এর বড় ভাই। এবার আপনার কাজ হল ভাই কে এক কাপ চা এর দাওয়াত দেয়া। চা খেতে খেতে ভাই কে বলুন ভাই আপনি তো মাসে ১০০ প্রোডাক্ট সেল করেন, কেমন হয় যদি আপনার সেল ১৫০ এ গিয়ে দাঁড়ায়। ভাই তো আড়চোখে আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। ভয় নেই বলতে থাকুন। এই ধরুন আপনার হয়ে আমি ও একটা ফেসবুক পেজ খুলব এবং আপনার সমস্ত প্রোডাক্ট আমি আমার নিজের ব্যবসা বা জয়েন্ট ভেঞ্চার বলে প্রচার করব। যদি আমার নেটওয়ার্ক থেকে কোন অর্ডার আসে আমি সেই অর্ডার আপনার কাছে প্লেস করে দিব। আপনি প্রোডাক্ট তৈরি করে কাস্টমার এর ঠিকানায় পৌছে দিবেন। আপনার তো প্রফিট হয় ৫০ টাকা সেখান থেকে আপনি আমাকে ৩০% কমিশন হিসেবে ১৫ টাকা আমার পারিশ্রমিক দিয়ে দিবেন। তাহলে আমার নিজের ১৫ টাকা আসল আর আপনার ও অতিরিক্ত ৩৫ টাকা লাভ হল যেটা আমি না থাকলে হত না।
এবার হিসাব কষুন ভাইয়ার ইনভেস্টমেন্ট সহ অতিরিক্ত ৫০ প্রোডাক্ট এর প্রফিট ৫০x৩৫=১৭৫০ টাকা। আর কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া আপনার প্রফিট ৫০x১৫=৭৫০ টাকা, তার উপর বাড়তি বোনাস হিসেবে পাচ্ছেন নিজের একটা ভেঞ্চার এবং CEO খেতাব।
ভাই যদি হয় রাজি, তাইলে ডাকেন কাজি। ইয়ে মানে কালকেই একটা ফেসবুক পেজ খুলুন এবং নিজের নামে ভিসিটিং কার্ড ছাপিয়ে ফেলুন। আপনি ও হয়ে যেতে পারেন CEO কাল থেকেই। এভাবে খুজুন আর অন্য কোন ভাই মোবাইক রিলেটেড প্রোডাক্ট বিকিকিনি করছে তাকেও নিজের পেজে এনলিস্টেড করুন আর দুইজন এর প্রোডাক্ট ই বিক্রি করতে থাকুন একই ছাদের নিচে বসে৷
Single Effort Double Profit….
আর বিজনেস এর এই প্রসেস কেই বলে Drop Shipping….বিদায় তবে, আর হ্যা ভাল কথা আমাদের ডিস্কাউন্ট দিতে যেন ভুলে যাবেন না।