প্রতিবেদন

ক্ষতিতে ইকমার্স খাত: অনুদান চায় ইক্যাব

দেশে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে প্রতিমাসে প্রায় ৬৬৬ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির বিনিময়ে সরকারের কাছে ২৪০ কোটি টাকা অনুদান চেয়েছে ইকমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ইক্যাব।

পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জনপ্রিয় মাধ্যম ই-কমার্স। কোন রকম ঘোরাফেরার ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসে পণ্য ক্রয় করা যায়। আবার এই ই-কমার্সকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক ক্ষুদ্র ও মঝারি শিল্প। বেকারত্ব কমে বেড়েছে উদ্যোক্তা।

বর্তমানে দেশে ই-কমার্সের প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। এই খাতে কর্মরত আছেন প্রায় সোয়া লাখ উদ্যোক্তা ও কর্মী।

ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক আব্দুল হক অনু জানান,

করোনার কারণে ব্যবসা বন্ধ থাকায় প্রতিমাসে ৬৬৬ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হবে। করোনা পরিস্থিতি ৩ মাস স্থায়ী হলে ই-কমার্স খাতে ক্ষতি হতে পারে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, জিডিপিতে ০.২ শতাংশ আসে ই-কমার্স থেকে। ই-কমার্সে থেকে ২০১৯ সালে প্রায় ১০০ কোটি টাকার রেমিটেন্স আয় হয়।

এমতাবস্থায় কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারলেও মুখ থুবরে পড়তে পারে অনেক প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে ই-কমার্স ভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ই-ক্যাবের পরিচালক আসিফ আহনাফ জানান, ই-কমার্স খাতের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের কাছে অনুদান এবং সহজ শর্তে ঋণ চাওয়া হয়েছে।

ই কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ইক্যাব সরকারের কাছে ২৪০ কোটি টাকার অনুদান এর পাশাপাশি সরল ২ শতাংশ হার সুদে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়েছে।

গত ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার ‘মানবসেবায় ই-কমার্সের ডাক’ স্লোগানে ই-কমার্স দিবস পালন করেছে ই-ক্যাব।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।