মিডিয়াটেক’র বেঞ্চমার্ক প্রতারনা
সম্প্রতি বেঞ্চমার্ক পরীক্ষায় মেডিয়াটেক চিপ এর প্রতারনার খবর পাওয়া গেছে। ব্রিটিশ মিডিয়া কোম্পানি ফিউচার পিএলসি এর প্রযুক্তি বিষয়ক অনলাইন ম্যাগাজিন আনন্দটেক মিডিয়াটেক চিপ নিয়ে করা এক পরীক্ষায় প্রতারনার খোঁজ পেয়েছে।
আনন্দটেক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যায়, অনেক মিডিয়াটেক চিপস বেঞ্চমার্ক পরীক্ষার সময় একটি “স্পোর্ট মোড” ব্যবহার করে যা পরীক্ষায় বিবেচনাধীন বিষয়গুলোর কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে।
যখন সিস্টেম সনাক্ত করতে পারে, এটি একটি বেঞ্চমার্ক সফটওয়্যার এর পরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছে তখন মিডিয়াটেক চিপগুলো একটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপ্টিমাইজড মোড এ চলে যায় যা স্মার্টফোনের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
আনন্দটেক এর কর্মীরা চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপোর রেনো ৩ নিয়ে পরীক্ষা করার সময় এটি প্রথম সন্দেহ করেন। হেলিও পি ৯৫ চিপ দিয়ে তৈরি স্মার্টফোনটির ইউরোপীয় সংস্করণ মিডিয়াটেক চিপ দিয়ে তৈরি চীনা সংস্করন এর তুলনায় অনেক বেশি ভাল পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে।
হেলিও পি ৯৫ এর সামগ্রিক পারফরম্যান্সে ৩০% এবং কিছু পরীক্ষায় ৭৫% পর্যন্ত পার্থক্য লক্ষ্য করে আনন্দটেক এর কর্মীরা। কারন হিসেবে হোয়াইটলিস্ট_সিএফজি.এক্সএমএল ইন/ভেন্ডর নামের একটি ফাইল বিবেচনায় আনা হয়। মিডিয়াটেকের কোন ডিভাইস যখন একটি বেঞ্চমার্ক সফটওয়্যার দ্বারা পরীক্ষা করা হয় তখন এটি “স্পোর্ট মোড” সক্রিয় করে। বেঞ্চমার্ক সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে রয়েছে পিসি মার্ক, আন টু টু, জিএফএক্স, থ্রিডি বেঞ্চ।
আনন্দটেক জানায়, অপো’ই শুধু একমাত্র প্রতিষ্ঠান নয়। অন্যান্য চীনা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভিভো, শাওমি, রিয়েলমি এবং সনি সহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের ডিভাইসে এরকম অসঙ্গতি দেখা গেছে। বেঞ্চমার্ক পরীক্ষায় কয়েক ডজন স্মার্টফোন প্রতারনা করে জানায় আনন্দটেক।
এর জবাবে মিডিয়াটেক তাদের ব্লগে একটি বিবৃতিতে জানায়, বেঞ্চমার্ক সফটওয়্যারগুলো তাদের চিপসেটগুলোর সক্ষমতা যথাযথভাবে উপস্থাপন করে বলে বিশ্বাস করে সংস্থাটি। মিডিয়াটেক চিপ দ্বারা তৈরি ডিভাইসগুলোর বেঞ্চমার্কিং নিয়ে আনন্দটেক যে প্রশ্ন তুলেছে তা স্মার্টফোন বিশ্বে ব্যাপকভাবে অনুশীলন করা হয়। এমনকি তাদের মূল প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর যে চিপ রয়েছে তাও ঠিক একইভাবে কাজ করে বলে জানায় মিডিয়াটেক।