প্রতিবেদন

সালাম অভ্র ঊদ্ভাবক, নতুন প্রজন্মের ভাষা সৈনিকদের

ফোনেটিক ভাষায় বাংলা লিখতে পারার জন্য যেই মানুষটিকে নতুন প্রজন্মের ভাষা সৈনিক বলাই যায়, যে কিনা অভ্র উদ্ভাবক, তিনি টিম লিডার সবার প্রিয় মেহদী হাসান খান ভাই।

মেহেদি হাসান খান
মেহেদি হাসান খান

 

৫২ তে ভাষার জন্য প্রান দিয়েছিলেন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতের মত হাজারো প্রান। তারা ভাষাকে প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জীবনকে বাজি রেখেছিলেন, দিয়েছিলেন নিজের প্রান। আজ আমরা একবিংশ শতাব্দীতে দাড়িয়ে। ইংরেজি আর হিন্দির ছড়াছড়ি চারপাশে। সারা বিশ্বে যেখানে ভাষাভাষির দিক থেকে বাংলা ভাষার স্থান চতুর্থ সেখানে ভার্চুয়াল জগতে বাংলা ভাষার প্রভাব এক সময় ছিলই না। সেই কথা মাথায় রেখেই মেহদী হাসান খান ভাই উইন্ডোজে ইউনিকোড ভিত্তিক বাংলা লেখার জন্য ২০০৩ সালের ২৬শে মার্চ অভ্র কীবোর্ড সফটওয়্যারটির আবির্ভাব(ডেভেলপ) করেন।

মেহেদি হাসান খান ভাই
মেহেদি হাসান খান

তার পড়াশোনার শুরুটা হয় আইডিয়াল স্কুল থেকে এরপর নটরডেম কলেজ পাড়ি দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ তারপর পেশায় এখন System Analyst হিসেবে mPower Health এ কর্মরত আছেন।

mpower health
mpower health

আবার ফিরে আসি অভ্রর কথায়। সারা ভার্চুয়াল জগতে বাংলা ভাষাকে আরো কত সহজ ভাবে পৌছে দেয়া যায়, আরো কত সহজে বাংলা লেখাকে সহজবোদ্ধ করা যায় সে কথা চিন্তা করে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেহেদি ভাই Omicon Lab প্রতিষ্ঠা করেন।

omicronlab
omicronlab

এরপর ২০০৩ সালের ২৬শে মার্চ অভ্র কীবোর্ডটির সুচনা হয়। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, একের পর এক নতুন সংস্করন বের হতে থাকে। মেহেদি ভাই এটি সর্বপ্রথম তৈরি করেছিলেন ভিজুয়াল বেসিক প্রোগ্রামিং দিয়ে, এরপর তা ডেলফি (Delphi) তে ভাষান্তর করেন। এই সফটওয়্যারটির লিনাক্স সংস্করণ লেখা হয়েছে সি++ প্রোগ্রামিং ভাষায়। পরবর্তীতে রিফাত-উন-নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম, রাইয়ান কামাল, শাবাব মুস্তফা এবং নিপুন হক এই সফটওয়্যারের উন্নয়নের সাথে যুক্ত হন।

অভ্র সদস্য গন
অভ্র সদস্য গন

২০০৭ সালে ‘অভ্র কীবোর্ড পোর্টেবল এডিশন’ বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্যে উন্মুক্ত করা হয়।

পোর্টেবল
পোর্টেবল

সফটওয়্যারটির আগের সংস্করণের লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম সমর্থিত সোর্সকোড আগে থেকেই মুক্ত ছিল এবং ২০১০ সালে উইন্ডোজে অভ্র কীবোর্ডের ৫ ভার্সনের সাথে এর সোর্স কোড মোজিলা পাবলিক লাইসেন্স এর আওতায় উন্মুক্ত করা হয়। সর্বশেষ সংস্করন ৫.১.০ উন্মুক্ত হয় পহেলা জানুয়ারি ২০১১ সালে।

অভ্র
অভ্র

 

অভ্রর অর্জনঃ

অভ্র ৬ মার্চ ২০০৮ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে স্বীকৃতি পায়

নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন

 

এছাড়া ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় BASIS Award Night 2011 । বেসিস (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য অভ্র কিবোর্ডকে পুরস্কৃত করা হয়। বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জনাব ইয়াফেস ওসমান এ পুরষ্কারটি তুলে দেন উপস্থিত অভ্র টিমের সদস্যদের হাতে।

“BASIS Special Contribution Award” পেল অভ্র কিবোর্ড
“BASIS Special Contribution Award” পেল অভ্র কিবোর্ড

আপনাদের কাছে একটি কথাই বলতে চাই ডাক্তারির মত ব্যস্ততম এবং মহান পেশায় নিয়োজিত থেকেউ নিঃস্বার্থ ভাবে ভাষার জন্য তার এই প্রচেষ্টার জন্য তাকে কি আমরা একজন নতুন প্রজন্মের তরুন ভাষা সৈনিক বলতে পারিনা ? সালাম এই শব্দ সৈনিককে…

শব্দ সৈনিক
শব্দ সৈনিক

বাংলা হোক আমাদের প্রতিবাদের ভাষা

বাংলা আমার প্রতিবাদের ভাষা
বাংলা আমার প্রতিবাদের ভাষা

অভ্র’র পাশে আছি সবসময়

অভ্র'র পাশে আছি সবসময়
অভ্র’র পাশে আছি সবসময়

 

“ভাষা হোক উন্মুক্ত”

অভ্র
অভ্র

অভ্রুকে ছরিয়ে দিন সবার মাঝে। আল্লাহ তাআলা অভ্রু টিমের সকল সদ্যসদের উত্তম প্রতিদান দান করুন আমিন

অভ্র সাইটঃ  www.omicronlab.com

ফেইসবুক পেজে অভ্রঃ www.fb.me/avrokeyboard

টুইটারে অভ্রঃ www.twitter.com/omicronlab

 

তথ্যসূত্রঃ ১)  Omicron  Lab

২) উইকিপিডিয়া

৩) ফেসবুক

৪) মামা

লেখাটি  টেকটিউনসবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি,  টেকটুইটস ও টেকস্পেট এ প্রকাশিত

নুরমোহাম্মদ ভুইয়া

জীবনে অনেক হেরেছি, কিন্তু কখন হারতে শিখিনি http://www.facebook.com/jadobd

5 thoughts on “সালাম অভ্র ঊদ্ভাবক, নতুন প্রজন্মের ভাষা সৈনিকদের

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।